AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dharmatala Bus Accident: মিনিবাস দুর্ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা

Kolkata Bus accident: ভয়াবহ এই মিনিবাস দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজার ট্রাফিক পুলিশের ফেটাল স্কোয়াড।

Dharmatala Bus Accident: মিনিবাস দুর্ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা
তদন্তে ফরেন্সিক টিম। ছবি অমিত দাস।
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2022 | 10:14 PM
Share

কলকাতা: দুর্ঘটনাগ্রস্ত মিনিবাসের (Bus Accident) চালকের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের হল। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে এই মিনিবাস চালকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ফরেন্সিক টিম সন্ধ্যায় গিয়েই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেছে। বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে তারা। কীভাবে এই মিনিবাস দুর্ঘটনা (Minibus Accident) ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই তা স্পষ্ট হবে। তবে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, হাওড়া আরটিও (RTO) এই মিনিবাসটিকে একাধিক কারণে ব্ল্যাক লিস্টেড ঘোষণা করেছিল। ছুটির রবিবারে ডোরিনা ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা। বেপরোয়া যানে ঝুঁকির মুখে পড়ল প্রাণ। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ব্যস্ত ডোরিনা ক্রসিংয়ে হঠাৎ করেই উল্টে যায় বরযাত্রী বোঝাই মিনিবাস

আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী। যার মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর হয়। পার্ক সার্কাস থেকে একটি মিনিবাস ভাড়া করে একই পরিবারের সদস্য, আত্মীয়রা বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে বাসটি বাঁকরার নিয়ে যাওয়ার সময় ধর্মতলার ঠিক কিছুটা আগে ফুটপাথের পাশে থাকা রেলিংয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। তারপর মাঝ রাস্তায় উল্টে যায় মিনিবাসটি। আশেপাশের যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা ছিলেন, তাঁরাই প্রথম ছুটে আসেন। বাসের ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। সকলকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

দুর্ঘটনার কারণ কী

ধর্মতলার বাস দুর্ঘটনার কারণ কী? যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই কি দুর্ঘটনা নাকি গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে গাফিলতি, জানতে বাসের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি খতিয়ে দেখা হয়। নমুনাও সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন তথ্য নোটও করে নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাসের সামনের যে অংশ তা ফিতে দিয়ে মেপে নেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই বাসের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু গাফিলতি ছিল। ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না। এমনকী হাওড়া আরটিও বিভিন্ন কারণে বাসটিকে ব্ল্যাক লিস্টেড ঘোষণা করে। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বাসটির বিমাও শেষ হয়ে গিয়েছে।

তদন্তে লালবাজারের ফেটাল স্কোয়াড

ভয়াবহ এই মিনিবাস দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজার ট্রাফিক পুলিশের ফেটাল স্কোয়াড। একইসঙ্গে বাস দুর্ঘটনায় ৩০৮ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে ২৭৯ ধারায় বেপরোয়াভাবে বাস চালানো ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ধারা অর্থাৎ পিডিপিপি অ্যাক্টেও নিউ মার্কেট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এখনও অবধি অভিযুক্ত চালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে চালকের কোনও ভুলে এই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে যান্ত্রিক কোনও গোলমাল ছিল তা ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: ‘সিএএ নিয়ে এবার স্পষ্ট কথা হওয়া দরকার…’, দিল্লির বিমানে ওঠার আগে বললেন শান্তনু