kolkata Municipal Corporation: বিতর্ক এড়িয়ে নাগরিক পরিষেবা কীভাবে? কাউন্সিলরদের পাঠ পড়াবেন মেয়র

Kolkata Municipal Corporation: সব কাউন্সলরকে টাউনহলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন পুরসভার সচিব।

kolkata Municipal Corporation: বিতর্ক এড়িয়ে নাগরিক পরিষেবা কীভাবে? কাউন্সিলরদের পাঠ পড়াবেন মেয়র
সম্পত্তি কর নিয়ে বড় ঘোষণা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 11:36 AM

কলকাতা: কলকাতা পুরসভার পরিচালনভার হাতে নিয়েই বিতর্ক এড়াতে সতর্ক মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিতর্ক এড়িয়ে আগামী পাঁচ বছর নাগরিক পরিষেবা কীভাবে? কাউন্সিলরদের সেই পাঠ দিতেই শনিবার টাউনহলে পাঠশালা। ওয়ার্কশপ কাম ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম নামে এই প্রকল্পে ক্লাস নেবেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, চেয়ারপার্সন মালা রায়। দুপুর দুটো নাগাদ সব কাউন্সলরকে টাউনহলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন পুরসভার সচিব।

কলকাতায় এবার ১৪৪টি আসনের মধ্যে ১৩৪ টিতে তৃণমূল, তিনটি বিজেপি, দুটো বাম, দুটো কংগ্রেস ও তিনটি নির্দল জিতেছে।  প্রত্যেক কাউন্সিলরকে নিয়েই এই বৈঠক। জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। সেই সঙ্কটের মধ্যেও ভারসাম্য বজায় রেখে কাউন্সিলররা কীভাবে নাগরিক পরিষেবা দিতে পারবেন, তা নিয়ে পাঠ পড়াবেন মেয়র। পাশাপাশি প্রত্যেক কাউন্সিলর কীভাবে মেয়র, ডেপুটি মেয়র, মেয়র পারিষদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করবেন, কীভাবে উন্নত নাগরিক পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব, সেই সব খুঁটিনাটি টিপস দেবেন ফিরহাদ হাকিম।

এক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হল, কীভাবে কাউন্সিলরা বিতর্ক এড়াবেন। গত পাঁচ দশ বছরে বিভিন্ন কাউন্সিলর বিভিন্ন কারণে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। তা নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও কম হয়নি। বিরোধীরাও হাতে অস্ত্র পেয়েছে। বিতর্ককে সরিয়ে রেখে কীভাবে নিজেদের ইমেজ জনসমক্ষে ঠিক রাখা যায়, কীভাবে জনসংযোগ আরও সুদৃঢ় করা যায়, সর্বোপরি বিতর্ককে কী দূরে রাখা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।

আগামী দিনে নাগরিকদের সুষ্ঠভাবে পরিষেবা দেওয়াই কলকাতা পুরসভার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে এই ক্লাস নিতে চাইছেন মেয়র। নাগরিকদের দুয়ারে পৌঁছে তাঁদের সমস্যা সমাধানের উপায় কাউন্সিলরদের বাতলে দিতে চান মেয়র। সূত্রে মারফত জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাই এই ধরনের একটি বৈঠকের পরামর্শ দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। নাগরিক পরিষেবা ১০০ শতাংশ সুনিশ্চিত করতে কাউন্সিলরদের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে মেয়র এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন। . রাজনীতির ঊর্ধ্বে, দল মত নির্বিশেষ কলকাতার প্রত্যেক কাউন্সিলর যাতে উন্নত নাগরিক পরিষেবা প্রদান করেন, সেই লক্ষ্যেই এই বৈঠক। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কলকাতা পুরসভায় এই ধরনের একটি বৈঠক হয়। সে সময় মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে সেবার এই বৈঠক বয়কট করেছিলেন বাম ও বিজেপি কাউন্সিলররা। এবারও সেরকম কোনও ঘটনা ঘতে চলেছে কিনা, সেটা সময় বলবে।

তথ্য বলছে, এবার কলকাতায় শাসকদলের ৪৯ কাউন্সিলর, বিজেপি ১ জন. কংগ্রেসের ১ জন, নির্দলের ৩ জন নতুন কাউন্সিলর রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাঁদেরকে আরও বেশি করে কাজ সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে চান ফিরহাদ হাকিম। নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন করতে চান। যে কোনও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় কঠোর হাতে কীভাবে দমন করা যায়, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হবে।

৯০ জন পুরনো কাউন্সিলরও রয়েছেন। তাঁদেরকেও বুঝিয়ে দেওয়া হবে ত্রুটি বিচ্যুতি। খামতি কোথায় থেকে গিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। নতুনদের পাশাপাশি পুরনোদেরও বেশ কিছু বিষয় সমঝে দেওয়া হবে এই বৈঠকে। তেমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: Vehicle Rule 2019: বাড়ল জরিমানার অঙ্ক! হেলমেট না পরলেই পকেট থেকে খোয়াতে হবে এই টাকা…