Kmc election 2021: ‘এমন প্রার্থী চাই, যখন ডাকি তখন পাই’, অপছন্দের প্রার্থী! প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে বসলেন তৃণমূল কর্মীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 29, 2021 | 9:51 PM

kolkata municipal election 2021: ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সুকুমার দাসকে। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মানবেন না বলে সোচ্চার হয়েছেন ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীরা।

Follow Us

কলকাতা: প্রার্থী পছন্দ নয়। কোনও দিন দলের কোনও কাজে দেখা যায়নি তাঁকে। দলের ঝান্ডাও ধরেননি। তাই এই প্রার্থী বদলাতেই হবে। এই দাবিতেই সোমবার সকাল থেকে কলকাতা পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের কর্মীরা। সন্তোষপুর লেক রোডে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তৃণমূলের লোকজন। সুকুমার দাসকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। কর্মীদের অভিযোগ, ওই প্রার্থী দলের কাজই কোনও দিন করেননি। তাই তাঁকে সরিয়ে তৃণমূল স্তরের কাউকে প্রার্থী করতে হবে।

১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সুকুমার দাসকে। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মানবেন না বলে সোচ্চার হয়েছেন ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীরা। এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, “১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের যে প্রার্থী দিয়েছে উচ্চ নেতৃত্ব, একটা দিন একটা মুহূর্তের জন্য এই ভদ্রলোককে আমরা এলাকায় দেখিনি। একদিনের জন্যও যদি উনি দলের ঝান্ডা ধরতেন মন থেকে মেনে নিতাম। আজ আমরা যারা ঝড় বৃষ্টি জলে আমফানে কষ্ট করে মানুষের পাশে থাকি, এ ভাবে চাপিয়ে দেওয়া তো আমরা মানব না। একজন তৃণমূল কর্মীও এই ওয়ার্ডের ওনাকে চান না।”

এদিন সকাল থেকে সন্তোষপুর লেকপল্লির সামনে প্ল্যাকার্ড, দলীয় পতাকা নিয়ে বসে পড়েন দলের কর্মীরা। কোনওটায় লেখা, ‘জোর করে চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী মানছি না’, কোনওটায় আবার লেখা, ‘এমন প্রার্থী চাই, যখন ডাকি তখন পাই’। সঙ্গে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের দাবি, দল এমন কাউকে প্রার্থী করুক যিনি দলের সর্বক্ষণের কর্মী।

প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জায়গায় জায়গায় ক্ষোভ ঘাসফুল শিবিরে। বিক্ষুব্ধ ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার তৃণমূল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন সচ্চিদানন্দ। এবার পুরভোটে মেলেনি টিকিট। তাই দল ছেড়ে এবার নির্দল প্রার্থী হয়ে পুরযুদ্ধের ময়দানে নামেন বিক্ষুব্ধ নেতা।

এই ছবি নতুন নয়। একুশের বিধানসভা ভোটের সময়ও প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ, আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বিশেষেই এই পরিস্থিতি দেখা যায়। কলকাতা পুরসভার ভোট ঘিরেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। রবিবারই কংগ্রেসের কার্যালয়ে দেখা গিয়েছিল দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ।

প্রথম দফায় ৬৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর রবিবার দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেস। হঠাৎ তুমুল বিক্ষোভে বিধান ভবনে ফেটে পড়েন দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধান ভবনের দরজা বন্ধ করে দিতে হয় বলেও সূত্রের খবর।

অন্যদিকে সোমবার বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেই শঙ্কর শিকদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা কর্মীরা। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি শঙ্কর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই ওয়ার্ডে দল যাঁকে প্রার্থী করেছে সেই সুতপা গুপ্ত শঙ্কর শিকদারকে টাকা দিয়েছেন। তাই টিকিট পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: BJP Candidate List 2021 for KMC: কলকাতা পুরভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা

কলকাতা: প্রার্থী পছন্দ নয়। কোনও দিন দলের কোনও কাজে দেখা যায়নি তাঁকে। দলের ঝান্ডাও ধরেননি। তাই এই প্রার্থী বদলাতেই হবে। এই দাবিতেই সোমবার সকাল থেকে কলকাতা পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের কর্মীরা। সন্তোষপুর লেক রোডে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তৃণমূলের লোকজন। সুকুমার দাসকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। কর্মীদের অভিযোগ, ওই প্রার্থী দলের কাজই কোনও দিন করেননি। তাই তাঁকে সরিয়ে তৃণমূল স্তরের কাউকে প্রার্থী করতে হবে।

১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সুকুমার দাসকে। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মানবেন না বলে সোচ্চার হয়েছেন ওয়ার্ডের দলীয় কর্মীরা। এক তৃণমূল কর্মীর কথায়, “১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের যে প্রার্থী দিয়েছে উচ্চ নেতৃত্ব, একটা দিন একটা মুহূর্তের জন্য এই ভদ্রলোককে আমরা এলাকায় দেখিনি। একদিনের জন্যও যদি উনি দলের ঝান্ডা ধরতেন মন থেকে মেনে নিতাম। আজ আমরা যারা ঝড় বৃষ্টি জলে আমফানে কষ্ট করে মানুষের পাশে থাকি, এ ভাবে চাপিয়ে দেওয়া তো আমরা মানব না। একজন তৃণমূল কর্মীও এই ওয়ার্ডের ওনাকে চান না।”

এদিন সকাল থেকে সন্তোষপুর লেকপল্লির সামনে প্ল্যাকার্ড, দলীয় পতাকা নিয়ে বসে পড়েন দলের কর্মীরা। কোনওটায় লেখা, ‘জোর করে চাপিয়ে দেওয়া প্রার্থী মানছি না’, কোনওটায় আবার লেখা, ‘এমন প্রার্থী চাই, যখন ডাকি তখন পাই’। সঙ্গে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের দাবি, দল এমন কাউকে প্রার্থী করুক যিনি দলের সর্বক্ষণের কর্মী।

প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই জায়গায় জায়গায় ক্ষোভ ঘাসফুল শিবিরে। বিক্ষুব্ধ ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার তৃণমূল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন সচ্চিদানন্দ। এবার পুরভোটে মেলেনি টিকিট। তাই দল ছেড়ে এবার নির্দল প্রার্থী হয়ে পুরযুদ্ধের ময়দানে নামেন বিক্ষুব্ধ নেতা।

এই ছবি নতুন নয়। একুশের বিধানসভা ভোটের সময়ও প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় বিক্ষোভ, আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বিশেষেই এই পরিস্থিতি দেখা যায়। কলকাতা পুরসভার ভোট ঘিরেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। রবিবারই কংগ্রেসের কার্যালয়ে দেখা গিয়েছিল দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ।

প্রথম দফায় ৬৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর রবিবার দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে কংগ্রেস। হঠাৎ তুমুল বিক্ষোভে বিধান ভবনে ফেটে পড়েন দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিধান ভবনের দরজা বন্ধ করে দিতে হয় বলেও সূত্রের খবর।

অন্যদিকে সোমবার বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতেই শঙ্কর শিকদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা কর্মীরা। বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি শঙ্কর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই ওয়ার্ডে দল যাঁকে প্রার্থী করেছে সেই সুতপা গুপ্ত শঙ্কর শিকদারকে টাকা দিয়েছেন। তাই টিকিট পেয়েছেন।

আরও পড়ুন: BJP Candidate List 2021 for KMC: কলকাতা পুরভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা

Next Article