কলকাতা: জাদুঘর শুটআউট কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। ASI রঞ্জিত ষড়ঙ্গী বা অ্যাসিন্ট্যান্ট কম্যাডান্ট সুবীর ঘোষ নন, অভিযুক্ত জওয়ানের টার্গেট ছিলেন ইনস্পেক্টর সমাদ্দার, সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। শুটআউটের পরে আত্মহত্যার ছক ছিল অভিযুক্ত অক্ষয় মিশ্রর। খবর সূত্রের।
ইনস্পেক্টর সমাদ্দারই কেন টার্গেটে?
ভারতীয় মিউজিয়ামের বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, জাদুঘরের ভিতরে যে ব্যারাক রয়েছে সেখানেই সিআইএসএফ জওয়ান বা কম্যাডান্টরা থাকেন। তাঁদের উপরই দায়িত্ব থাকে নিরাপত্তার। শনিবারের ঘটনাটি যখন সামনে আসে তখন জানা যায় অক্ষয় মিশ্র এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন। আর সেই গুলি গিয়ে লেগেছে ইনস্পেক্টর সমাদ্দারের। পরবর্তীতে যদিও জানতে পারা যায়, তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। গুলি লেগেছে এএসআই-এর।
জানা যায়, গুলি চলতেই সমাদ্দার দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর জাদুঘরের ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। এরপরই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত অক্ষয় মিশ্রের রাগ ছিল ইনস্পেক্টর সমাদ্দারের উপরই। কারণ ছুটি পাওয়া নিয়ে যে গণ্ডগোল হচ্ছিল তাও অক্ষয়ের সঙ্গে ইনস্পেক্টরের চলছিল। ফলত, তাঁকেই টার্গেট করে গুলি করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত জওয়ান। কিন্তু লক্ষ্য়ভ্রষ্ট হন। তবুও হাল ছেড়ে দেননি। ইনস্পেক্টর সমাদ্দার পালিয়ে যেতেই এলোপাথাড়ি গুড়ি চালাতে থাকেন অক্ষয়। এমনটাই অভিযোগ। এরপর যখন তিনি জানতে পারেন যে পুলিশ ঘিরে ফেলেছে এলাকা, তখন তিনি ব্যারাকের ভিতরে গিয়ে আত্মগোপন করে থাকেন।
পরে অর্থাৎ শনিবার রাত্রিবেলা মাইকিং করে পুলিশ অভিযুক্তকে বাইরে আসার নির্দেশ দেয়। সূত্রের খবর, সেই সময় অক্ষয় বারংবার পুলিশের উদ্দেশে বলতে থাকেন পুলিশকে নিরস্ত্র হতে হবে। তবেই তিনি বাইরে এসে ধরা দেবেন। সেখান থেকেই পুলিশের অনুমান অভিযুক্ত কি নিজেও আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন?
প্রসঙ্গত, গত বুধবার এ কে মিশ্রের বাবা মারা যাওয়ায় তিনি ছুটির আবেদন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, তা নিয়েই মূল ঝামেলার সূত্রপাত ইনস্পেক্টর সমাদ্দারের সঙ্গে। সূত্রের খবর, শুধু ছুটি নয়। অভিযুক্তের সঙ্গে সবাই ঠাট্টা ইয়ার্কি চলত বলেও খবর। সেটা নিয়েও তার মনে রাগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সবকিছু নিয়েই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে খবর।