AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এখনও ঝুলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতার ভাগ্য, আজ ফের হাইকোর্টে নারদ-কচ কচানি

নারদ কাণ্ডে (Narada Case) বুধবারের শুনানির পর আপাতত জেল হেফাজতেই রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)।

এখনও ঝুলে  রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতার ভাগ্য, আজ ফের হাইকোর্টে নারদ-কচ কচানি
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
| Updated on: May 20, 2021 | 8:14 AM
Share

কলকাতা: বুধবার শুনানি হল। কিন্তু রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতার ভাগ্য নির্ধারণ করল না কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। রায় দেয়নি মামলার স্থানান্তর নিয়েও। বৃহস্পতিবার ফের হাইকোর্টে নারদকাণ্ডের (Narada Case) চার হেভিওয়েট নেতার জামিন স্থগিতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি রয়েছে। বুধবারের শুনানির পর আপাতত জেল হেফাজতেই রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)।

বুধবারও এই মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। কিন্তু তার নিষ্পত্তি হয়নি কিছুই। আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, ‘মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিওপিডি আছে, ওদের ছেড়ে দেওয়া হোক। তবে কাউকেই আজ জামিন দেওয়া হয়নি। এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন সিবিআই দফতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপরি জে বিন্দল। তিনি বলেন, ‘নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী, আদালতে আইনমনন্ত্রী, বিচার কোথায় হবে, রাস্তায়?’ যদিও আইনজীবী সিংভির বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসে গিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের দফতরে নয়। তাই এর ফলে কোনও প্রভাব খাটানো হয়নি। বিচারপতির দাবি, এই বিষয়টা প্রশাসকের নজরে দেখা উচিত। বিচারপতি বলেন, কোনোরকম বিরোধিতা হলেই মুখ্যমন্ত্রী ধর্ণায় বসবেন, এটা কোনও ট্রেন্ড হতে পারে।

আইনমন্ত্রী কীভাবে আদালতে গেলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পক্ষের আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইনমন্ত্রী আদালতের ভিতরে ছিল না, আদালত চত্বরে ছিল। এই মামলায় ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে আইনমন্ত্রীর নাম।

কেন আগাম কোনও নোটিস না দিয়েই বিধায়কদের এমনভাবে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন অভিষেক মনু সিংভি। তাঁর দাবি সিবিআই-এর পদক্ষেপ ন্যায়ের পরিপন্থী। নোটিস না দিয়ে কেন সিবিআই আধিকারিকরা রাজভবনে গেলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: এক রাতেই শারীরিক অবস্থার বেশ খানিকটা বদল! ফিরহাদের তত্ত্বাবধানে জেলের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার

এদিকে, আইন ভেঙে চার হেভিওয়েটকে গ্রেফতারের অভিযোগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর দায়ের করলেন তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। মহামারি আইন ছাড়াও একাধিক ধারায় মামলা। বুধবার হাইকোর্টে যে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি, আজ ফের তার শুনানি দুপুর ২টোয়। এখনও ঝুলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতার ভাগ্য।