কলকাতা: মাদক কাণ্ডে (New Alipore Drug Case) গ্রেফতার রাকেশকে সিংকে (Rakesh Singh) আলিপুর বিশেষ আদালতে পেশ করার সময়ে ধুন্ধুমার। বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহকে ঘিরে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পুলিশের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা। ধাক্কাধাক্কিতে রীতিমতো মাটিতে পড়ে যান রাকেশ সিং। প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়।
আদালতের লক আপ থেকে বিশেষ আদালতে রাকেশকে নিয়ে যাওয়ার সময়ই মূলত উত্তেজনা ছড়ায়। ওই চত্বরে আগে থেকেই জড়ো হয়ে ছিলেন রাকেশ অনুগামীরা। তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। সে সময় চিৎকার করতে দেখা যায় রাকেশ সিংকেও। পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য দিক থেকে রাকেশকে আদালতে পেশ করে।
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে সওয়াল জবাব চলাকালীন রাকেশ সিংয়ের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। রাকেশের আইনজীবী আদালতে জানান, বিজেপি নেতাকে মারধর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই কাজ করা হচ্ছে। রাকেশ ভোটেও লড়তে পারেন বলে আদালতে সওয়াল করেন রাকেশের আইনজীবী।
সরকারি আইনজীবী পাল্টা সওয়াল করেন, রাকেশ সিং গলসিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৮ টা নাগাদ ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের খানো এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় রাকেশ সিংকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাকেশ সিং এর ফোন ট্র্যাক করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে জাতীয় সড়ক ধরে পূর্ব বর্ধমানের দিকে এগোচ্ছেন তিনি। বর্ধমান জেলা পুলিশের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাকেশ সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য পামেলার মুখে! মাদক কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়
এরপরেই রাকেশকে ধরতে পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয়। খানোতে রাকেশকে পাকড়াও করে গলসি থানার পুলিশ। আটক করা হয় রাকেশের গাড়ি চালক ও নিরাপত্তারক্ষীকে। তাঁর গাড়িটিও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ গলসি পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের ছয় সদস্যের একটি দল। রাকেশকে লালবাজারে আনা হয়। কার্যত সাংবাদিকদের এড়িয়ে রাকেশকে লালবাজারের ভিতরে নিয়ে যান গোয়েন্দারা।
রাকেশের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, “রাকেশকে গ্ৰেফতার করা ঠিক হয় নি । রাজনৈতিক উদ্দেশ্য গ্ৰেফতার করা হয়েছে।”