কলকাতা: বেপরোয়া গতির জের ফের দুর্ঘটনা (Kolkata Accident)। ঘটনাস্থল ফের চিংড়িহাটা (Chingihata)। বাইক থেকে ছিটকে পড়লেন যুবক। ধর থেকে ছিন্ন হয়ে গেল মাথা। আশঙ্কাজনক ওই বাইকের আরোহী এক তরুণীও।
পুলিশ সূত্রে খবর, এক যুবক ও এক তরুণী সাইন্সসিটির দিক থেকে বাইকে চেপে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মেট্রোপলিটন লেনের কাছে রাস্তার ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে লোহার গার্ডরেলে সজোরে ধাক্কা মারেন যুবক। দুর্ঘটনায় শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উল্টোদিকের লেনে গিয়ে পড়েন বাইক চালক।
বাইকের পেছনের সিটে থাকা তরুণী গুরুতর জখম হন। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে আমরি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপরদিকে মৃত যুবকের দেহ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মাথা উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটিকেও। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই মৃত যুবক ও আহত তরুণীর কোনও পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। রাস্তায় কাজ চলায় ওই এলাকায় এমনিতেই গতি নিয়ন্ত্রিত রাখার প্রয়োজন। কিন্তু ফাঁকা রাস্তায় ঝড়ে গতিতে আসছিল বাইকটি। অনেক রাতে ফিরছিল। বাইক চালক মত্ত অবস্থায় ছিল কিনা, সেটা বোঝা সম্ভব নয় এখন। তরুণী সুস্থ হলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে।
গত সপ্তাহেই সেক্টর ফাইভে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডার ধাক্কা মেরে উল্টে যায় এক গাড়ি। গাড়িতে দুই তরুণী ও দুই যুবক ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রত্যেকেই। প্রাইভেট গাড়িটি নিকোপার্কের দিক থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিল। গাড়ির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে বেশি ছিল। ওই রাস্তায় নবদিগন্ত পার্কের সামনে একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তার এক সপ্তাহ আগেই নিকো পার্কের সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। কারণ সেই ওভারটেক। একটি প্রাইভেট গাড়ি উল্টে আহত হলেন পাঁচজন। অভিযোগ, দু’টি গাড়ির রেষারেষি এবং ওভারটেকের লড়াইয়েই এই দুর্ঘটনা। একটি অ্যাপ ক্যাবের সঙ্গে একটি প্রাইভেট গাড়ির রেষারেষির ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা চিংড়িঘাটা মোড় পর্যন্ত ইএমবাইপাসে একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও কেউ গতির খেলায় মাততে পারে না। কিন্তু চিংড়িঘাটা উড়ালপুল থেকে নেমে সেক্টর ফাইভ বা নিউটাউন যাওয়ার রাস্তায় এই স্পিড লিমিটার অমিল। এই রাস্তাটি আবার বিধাননগর কমিশনারেটের অধীনে। এখানে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তায় স্পিড লিমিটার নেই বলেই অভিযোগ।
এর ফলেই নিয়মিত এই রাস্তা ধরার পরই অধিকাংশ গাড়ি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সেই গতিরই মাশুল গুনতে হচ্ছে চালকদের। চিংড়িহাটার ওই রাস্তা যেন হয়ে উঠেছে মরণফাঁদ।
আরও পড়ুন: Kolkata: আহিরীটোলার পর জোড়াসাঁকো! পুজোর মুখে পুরনো বাড়ির ব্যালকনি ভেঙে মৃত ২