কলকাতা: পানশালার লাইসেন্স (Bar License) পাইয়ে দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবলকে (Kolkata Police Constable) গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃত পুলিশ কনস্টেবলের নাম পল্লব সরকার। তিনি কলকাতা পুলিশের সাত নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। বুধবার সন্ধেয় বিশাল বাহিনী নিয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ এক অভিযান চালায় গল্ফ গ্রিন থানা এলাকায়। অভিযুক্ত ওই পুলিশ কনস্টেবল তখন গল্ফ গ্রিন থানা এলাকার অন্তর্গত এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের পুলিশ আউটপোস্টে কর্তব্যরত ছিলেন। সেই সময়েই গল্ফ গ্রিন থানার পুলিশের সাহায্যে ওই অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় নিউটাউন থানা। বিচারক অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে, পল্লব সরকার ওরফে দোদন নামে বছর ৪৫-এর ওই পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। কলকাতায় বাঘাযতিন এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন তিনি। কিছুদিন আগে রাজরহাটের বাসিন্দা অমৃতা গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক মহিলা ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মহিলার বক্তব্য ছিল, তাঁর বৃদ্ধ বাবার থেকে সাড়ে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পল্লব সরকার। অভিযোগ, তিনটি পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে ভুয়ো কাগজপত্র দিয়ে তাঁর বাবার থেকে আরটিজিএস মারফত ওই টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে নিউটাউন থানার পুলিশ এবং শেষ পর্যন্ত বুধবার সন্ধেয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল চত্বরের পুলিশ আউটপোস্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত পল্লব সরকারকে।
বুধবার সন্ধেয় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর এদিন তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করে ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে জেরা করে ঘটনার নেপথ্যে আরও কী কী তথ্য রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা।