কলকাতা: ফুলের বস্তার পাশেই রাখা ছিল টাকা ভর্তি বস্তাটি। তাঁর রোজকার কাজ ছিল মন্দির থেকে বস্তা নিয়ে গঙ্গাঘাটে ফেলার! ফুলের বস্তা ভেবেই সেটি মন্দির থেকে নিয়ে রিক্সায় তোলেন তিনি। আর পাঁচ দিনের মতোই গঙ্গাঘাটে ফেলে আসেন। কিন্তু তাতে লাগে আগুন! আর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবর। এ কী রাস্তার ধারে পুড়ছিল সারি সারি টাকা! ১০, ৫০, ১০০, ৫০০-র নোট! নিরীহ রিক্সাচালক অবশ্য এক বিন্দুও কিছুই আঁচ করতে পারেননি আগুপিছু। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কালীঘাটের (Kalighat) নোট রহস্যের পর্দা ফাঁস করতে গিয়ে হতবাক পুলিসও।
কালীঘাট মুখার্জি ঘাট থেকে পাওয়া পোড়া টাকা আসলে ভবানীপুর এলাকার এক জৈন মন্দিরের প্রণামী। তদন্তে নেমে পুলিস এমনটাই জানতে পেরেছে। রবিবার ওই ঘাটে টাকা কোথা থেকে এল. তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তদন্তে জানা যায় রাজেন্দ্র নামে এক রিক্সাওয়ালা রোজ ওখানে ফুল ফেলতে আসেন। ওই দিনও তিনি ফুল ফেলে গিয়েছিলেন। ফুলের সঙ্গে ছিল টাকাও।
খোঁজ শুরু হয় রিক্সাওয়ালার। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি ভবানীপুরের এক জৈন মন্দিরের ফুল ফেলেন। পুলিস মন্দির-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, আমফানের সময়ে প্রণামী বাক্সে জল ঢুকে যায়। সেই টাকা ব্যাঙ্কে দেওয়ার জন্য আলাদা করে বস্তায় রাখা ছিল। রবিবার ভুল করে ফুলের সঙ্গে সেই টাকার বস্তাও চলে যায় গঙ্গাঘাটে।
আরও পড়ুন: অসুস্থ অরূপ রায়কে দেখতে হাসপাতালে রাজীব
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরের রাস্তার ধারে একটি বস্তা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। কাছে গিয়ে দেখতে পারেন, টাকা পুড়ছে। ৫০, ১০০, ৫০০ টাকার সেই পোড়া নোটই কুড়োতে থাকেন স্থানীয়রা। খবর যায় থানায়। পুলিস ঘটনার তদন্তে নামে।