কলকাতা: ভোর জেল চত্বরে মর্নিং ওয়াক করেছেন, তবে ফিরহাদ ছিলেন উদ্বিগ্ন। চিন্তিত দেখিয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। তাই দুই মন্ত্রীর সুস্থতা নিয়ে সতর্ক প্রশাসন। প্রেসিডেন্স জেলে (Presidency Jail) উত্তমকুমার স্পেশ্যাল সেলে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। এই সেলে ৬ টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে দুটি আলাদা ঘরে রয়েছেন ফিরহাদ ও সুব্রত।
জেল সূত্রে খবর, গোটা রাতই তাঁরা উদ্বিগ্ন ছিলেন। তাঁর আচরণে তা স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল। তার জন্য জেল কর্তৃপক্ষ বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে। এই উদ্বেগের জন্য তাঁদের শরীরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। চেক আপের জন্য তাঁদেরকে এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হতে পারে। প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চ সোমবার রাতে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আদেশ খারিজ করে দেন। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগে পর্যন্ত তাঁরা কেউ ছাড়া পাচ্ছেন না। যেহেতু সিবিআই তাঁদের জেল হেফাজত চেয়েছিল। প্রেসিডেন্স জেলে উত্তমকুমার স্পেশ্যাল সেলে চারটি ঘর তাঁদের জন্য বরাদ্দ করা হয়।
কিন্তু ভোর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাত তখন ৩.৩০ মিনিট। আচমকাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয় মদন মিত্রের। ভোট ৩.৪০ মিনিট নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় মদন মিত্রকে। উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর রুমে রয়েছেন তিনি। সমস্যা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও। তাঁকেও এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে রাখা হয়েছে ১০৫ নম্বর রুমে।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে যোগ দিয়েই যা বলেছিলাম, আজও বলছি’, বিপদের মুহূর্তে কী ইঙ্গিত শোভনের?
ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ একবার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের দরজায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএম উডর্বান ওয়ার্ডে আনা হলেও, পরে তাঁকে ফের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।