কলকাতা: কলকাতা বইমেলায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার অভিনেত্রী। গোটা বাংলাকে আজ নাড়িয়ে দিয়েছে এই খবর। অভিনেত্রী রূপা দত্তকে গ্রেফতার করেছে বিধান নগর উত্তর থানার পুলিশ। এই প্রথম নয়, রূপা দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আরও বিস্ফোরক। খোদ চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্থা’র মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন। সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় হয়েছিল অভিনয় জগত।
ঘটনাটা ২০২০-র। সেসময় পায়েল ঘোষ অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ তুলেছিলেন। পায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সেসময় অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিলেন রূপা দত্ত। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, অনুরাগ কাশ্যপ ফেসবুকে একাধিক আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তাঁকে। তাঁর অভিযোগ ঘিরেও সরগরম হয় অভিনয় জগত।
রূপা দত্ত দাবি করেছিলেন, ফেসবুকেই অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। আর তারপর অনুরাগ একাধিকবার ইঙ্গিতপূর্ণ মেসেজ করেছিলেন তাঁকে। ন্যাশনাল চ্যানেলে সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন রূপা দত্ত। এমনকি মহেশ ভট্টের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। মহেশ ভট্টও নাকি তাঁকে এই ধরনের মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ফেসবুকে, যার অন্য কিছু মানে দাঁড়াও।
যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে দেখা যায়, অনুরাগ কাশ্য়পের বিরুদ্ধে তোলা তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দেখা যায়, অনুরাগ সফর নামে এক ব্যক্তির চ্যাট স্ক্রিন শট করে তুলে ধরেছিলেন রূপা দত্ত। সেই অনুরাগ সফর আবার আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা। তিনিও ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, তাঁকে অনুরাগ কাশ্যপ বলে ভারতের ন্যাশনাল মিডিয়াগুলোতে দেখানো হচ্ছে। তিনি আদতে অনুরাগ কাশ্যপ নন। সে সময়ও মারাত্মকভাবে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রূপা দত্ত। এর আগে নিজেকে স্বঘোষিত কার্ণি সেনার প্রেসিডেন্ট হিসাবেও ঘোষণা করেছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় রূপা দত্তকে কলকাতা বইমেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর ব্যাগ থেকে শনিবার প্রায় ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশও খানিকটা হতভম্ব। আসল পরিচয় জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান দুঁদে পুলিশ কর্তারা। রূপা দত্তের কাছ থেকে যে ডাইরি উদ্ধার হয়েছে, তাতে কবে কত টাকা উঠিয়েছেন, তারও হিসাব রয়েছে। কিন্তু কেন তিনি এমন কাজ করছেন সেই বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিনেত্রী রূপা দত্তের একটি বড় চক্রও রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। কেন রূপা দত্তকে পকেটমারি করতে হচ্ছে, সেই কারণও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।