কলকাতা: এর আগেও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। তবে এবার যেন তাঁর বাণই ব্যুমেরাং হল! জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) বিঁধতে গিয়ে শালীনতার সীমা ছাড়ালেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তীব্র নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিদ্বজনেরা।
রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত: দিলীপ ঘোষ খারাপ কথা বলে নাম করেছেন। যীশু খ্রীষ্টকে নিয়েও গোলমাল হয়েছে। আসলে যাঁর নাম হয়েছে কিছু লোক তাঁর পিছনে লাগে। এটার পরম্পরা আছে।
কৌশিক সেন: ওই ভদ্রলোকের নাম মুখে নিতে ইচ্ছে করে না। ওঁ যে অমর্ত্য সেনের নাম মুখে উচ্চারণ করতে পারছেন, সেটাই ওঁর কাছে পরম সৌভাগ্যের সেটা ভবিষ্যতে বুঝবেন। একটা ভ্যাগাবন্ড যদি বিশিষ্ট মানুষের সম্বন্ধে কিছু বলে তাতে অমর্ত্য সেনের কিছু আসে যায় না। কিন্তু ভ্যাগাবন্ড তাঁর নাম উচ্চারণ করে প্রচারে আসছে সেটা ওঁর সৌভাগ্য।
অমল মুখোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী উপাচার্য সম্বন্ধে যা বলেছেন তা অত্যন্ত অপমানজনক। আবার দিলীপ ঘোষ যেভাবে ‘জমিচোর’ বলেছেন তা অত্যন্ত অন্যায়। আসলে আমাদের রাজ্যে রাজনীতিতে মূল্যবোধ সম্পূর্ণ তিরোহিত হয়েছে। রাজ্যে যেভাবে কুৎসা, মারামারি চলছে তা কোনও ভদ্র সমাজ বা গণতান্ত্রিক সমাজে বাঞ্ছনীয় নয়। যেভাবে কুকথা চলছে আমরা যারা গণতন্ত্রপ্রেমী, সভ্য সমাজের সদস্য বলে গর্ববোধ করি তাঁদের মাথা লজ্জায় নেমে যাচ্ছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: এই সব উন্মাদ অর্ধশিক্ষিতদের কথার উত্তর হয় না । এরা বাংলার মাথা হেঁট করে দিচ্ছে।
সুগত বসু: এই নিয়ে আমি বিশেষ মন্তব্য করতে চাই না। সবাই বুঝতেই পারছেন। অমর্ত্য বাবুর মত মানুষের এই সব কথায় কিছু এসে যায় না।
সাংসদ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু প্রত্যেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কেউ বা প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে ফোন করা হলে তিনি এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। বলেন, “যা বলার গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে বলেছি।” শমীক ভট্টাচার্যকে ফোনে ধরা হলে এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।