কলকাতা: “আমি কোনও অন্যায় করিনি। সেদিনও বলেছিলাম, আজও বলছি।” নিজাম প্যালেস (Nizam Palace Kolkata) থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে (Presidency Jail) নিয়ে যাওয়ার সময়ে কথাগুলো বললেন ক্লান্স বিধ্বস্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)।
তিনি বললেন, “আমি কারও কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিইনি। আমি যেদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম, সেদিনও ঠিক একই কথা বলেছি। আজও বলছি। আমি কোনও অন্যায় করিনি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “যদি কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ কিছু করে আমরা আইনের সাহায্য নেব। আইনের মাধ্যমেই তাদের প্রতিহত করব।”
সোমবার সকাল থেকে রাতভর চলে লড়াই। নারদকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন মমতার তিন সতীর্থ। কিন্তু তিনি এখন সেই তালিকায় এখন নাম নেই শোভনের। তিন সতীর্থের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নিজাম প্যালেসে সোমবার টানা ৬ ঘণ্টা ধর্না দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের ওপর চাপ বাড়িতে তিনি দাবি তোলেন, যদি সুব্রত-ফিরহাদ-মদনকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু প্রথম থেকেই শোভনের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে স্ত্রী রত্নাকেই।
প্রথমে জামিন মঞ্জুর হলেও, পরে নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে আপাতত বুধবার পর্যন্ত তাঁদের থাকতে হবে প্রেসিডেন্সি জেলেই থাকবেন তাঁরা। রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে দেখা যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ঋষি চট্টোপাধ্যায়কে।
ভোর রাতে খবর আসে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাখা হয়েছে ১০৫ নম্বর রুমে। ভোর ৫টা ১৫ নাগাদ একবার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের দরজায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।