কলকাতা: মাদক চক্রে (Drug Case) উঠে এল পুলিশি যোগ। অর্থাৎ পুলিশ কনস্টেবলের (Constable) হাত দিয়েই মাদক পাচার হয়ে যেত ভিন রাজ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা খোদ কলকাতারই বুকে। এখনও পর্যন্ত ৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ২ কনস্টেবল পলাশ বিশ্বাস ও সুব্রত বিশ্বাস কলকাতা পুলিশের এসটিএফের (STF) জালে। এই ঘটনায় আর কোনও পুলিশ কর্মী জড়িত কিনা, তার খোঁজ চলছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার। ওঁত পেতে বাবুঘাট এলাকা থেকে ১ কেজি ১৩২ গ্রাম মাদক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তাঁদের মধ্যে এক জন ওড়িশার বাসিন্দা। বাকি দু’জনের বাড়ি বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, বনগাঁ থেকে আসা ওই দুই ব্যক্তি মাদক ওড়িশার যুবকের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন। ওই যুবকের মাদক ওড়িশায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
হেফাজতে নিয়ে ধৃত তিন জনকে জেরা করতে থাকে পুলিশ। যা তথ্য উঠে আসে, তাতে রীতিমত স্তম্ভিত দুঁদে তদন্তকারীরাও। জানা যায়, বনগাঁর বাসিন্দা দুই কনস্টেবল তাঁদের মাদক সরবরাহ করতেন। জেরায় উঠে আসে পলাশ ও সুব্রতর নাম। এদিকে, পুলিশি তদন্তের খবর পৌঁছতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তাঁরা। তদন্তাকারীরা তল্লাশি চালাতে থাকে।
শনিবার রাতে চাঁদপাড়ার একটি পোলট্রি ফার্ম থেকে দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, সাধারণ কনস্টেবলের চাকরি করেও বিশাল সম্পত্তির মালিক তাঁরা। বনগাঁ একাধিক বাড়ি ও সম্পত্তি রয়েছে। তাঁদের জীবনযাপনও ছিল বিলাস বহুল।
আরও পড়ুন: ‘এখনও কত দেহের খোঁজ মেলেনি’ নন্দীগ্রামের আবেগ উস্কে ‘নস্ট্যালজিক’ টুইট মমতার
সাধারণ মাইনের চাকরি করে কীভাবে এত বিলাসিতা করতে পারতেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল প্রতিবেশীদের মনেও। ৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কর্মী হওয়ায় চাপ সাধারণত একটু কম ছিল। কাজের ফাঁকেই সময় বার করে মাদকের ব্যবসা করতেন তাঁরা। আঁচ করতে পারেননি সহকর্মীরাও। তবে এই ঘটনায় আরও কোনও পুলিশ কর্মী জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।