
কমলেশ চৌধুরী ও সৌভিক সরকারের রিপোর্ট
কলকাতা: জোলো বাতাস সরিয়ে ঠান্ডার পরশ হাজির। ক্রমশ ফুরোচ্ছে ফ্যান চালানোর প্রয়োজন। কলকাতার পাশাপাশি সব জেলার তাপমাত্রাই ক্রমশ নামছে। শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই তাপমাত্রা খুব শীঘ্রই নেমে যাবে আরও। পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আগেই কমতে শুরু করেছে।
শনিবার সকালে ঘুম ভাঙতেই রাজ্যের বেশ বুঝতে পারেন, তাপমাত্রা কমেছে। এখনও সোয়েটার পরার মতো ঠান্ডা না পড়লেও ভোরের দিকে হালকা চাদর গায়ে চাপাতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠলে অবশ্য পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ছে খানিকটা। আবহাওয়াবিদরা বলছে, ভোরের দিকে ও রাতের দিকে তাপমাত্রা কমবে, দিনের বেলা ঠান্ডার অনুভূতি থাকবে না।
১৯ ডিগ্রিতে নামতে পারে কলকাতার পারদ, বীরভূমের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই নেমেছে ১৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে শীত আসতে এখনও দেরি। বাংলা জুড়েই পশ্চিমী হাওয়ার দাপট বাড়ছে। উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়াও ধীরে ধীরে বইছে। এর প্রভাবে শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে।
পূর্বাভাস বলছে, আগামী সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০-এর নীচে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নামতে পারে। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫৫ থেকে ৮৪ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় এদিন সকাল থেকে হালকা কুয়াশা দেখা গিয়েছে। আগামী ২-৩ দিনে পার্বত্য এলাকায় কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে পারে। ভোরে বা সকালের দিকে দার্জিলিং ও কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশ পরিষ্কার থাকবে। একটানা শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পূর্ব মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। এদিকে, হরিয়ানার ওপর আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়।