
কলকাতা: কৃষ্ণনগর পুরসভা নিয়ে তৃণমূলে অস্বস্তি চরমে। দলের হুইপ অমান্য করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল কাউন্সিলরদের। পুরপ্রধান রীতা দাসকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপ্রধানকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা তৃণমূলের কাছে যথেষ্টই অস্বস্তির, যে দলেরই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলররা বিক্ষুব্ধ, তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ও মেয়রকে সরিয়ে দেন। কৃষ্ণনগরে ডেপুটি মেয়র কার্যনিবাহী মেয়র হিসাবে কাজ করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নদিয়া মতো একটি স্পর্শকাতর এলাকায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অন্দরের এই কোন্দল শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখেনি। দলের হুইপ অমান্য করেই এই অনাস্থা আনা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। এই মুহূর্তের বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের নিয়ে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সীরা বসছেন। সূত্রের খবর, তাঁদের দলের তরফ থেকে একটা চরম বার্তা দেওয়া হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শাসকদলে গোষ্ঠীকোন্দলের একাধিক খবর সামনে আসে। কিন্তু দলের হুইপ অমান্য করে দলেরই চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা শেষ কবে ঘটেছিল, সেটা মনে করা কঠিন। কৃষ্ণনগরে সেটি হয়েছে। তাই এই বিষয়টিকে কড়া ভাবেই সামলাচ্ছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছিল কৃষ্ণনগর পৌরসভায়। যে কারণে উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত থমকে গিয়েছিল পৌর এলাকাগুলিতে। জানা গিয়েছে, পূর্বে দলীয় কাউন্সিলরদের অসহযোগিতা করার পাশাপাশি কাউন্সিলরদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে বেশ কয়েকটি বিল পাস করার অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যান রীতা দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তোলেন পৌরসভারই বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। এরপর থেকে রীতা দাসকে অপসারণ করার দাবিতে চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ পৌর জনপ্রতিনিধিরা। পরবর্তীতে গত ২৮ জুলাই তৃণমূল পরিচালিত পৌর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন কাউন্সিলররা।