Krishnanagar Municipality: কাউন্সিলরদেরই অনাস্থা, অপসারিত কৃষ্ণনগর পৌরসভার চেয়ারম্যান
Krishnanagar Municipality: প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছিল কৃষ্ণনগর পৌরসভায়। যে কারণে উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত থমকে গিয়েছিল পৌর এলাকাগুলিতে। জানা গিয়েছে, পূর্বে দলীয় কাউন্সিলরদের অসহযোগিতা করার পাশাপাশি কাউন্সিলরদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে বেশ কয়েকটি বিল পাস করার অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যান রীতা দাসের বিরুদ্ধে।

নদিয়া: তৃণমূল পরিচালিত পৌর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন কাউন্সিলররা।সোমবার পুরসভার সকল কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাসকে অপসারিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চেয়ারম্যান রিতা দাসকে অপসারিত করতে ১৫ জন কাউন্সিলর একযোগে মত প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছিল কৃষ্ণনগর পৌরসভায়। যে কারণে উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত থমকে গিয়েছিল পৌর এলাকাগুলিতে। জানা গিয়েছে, পূর্বে দলীয় কাউন্সিলরদের অসহযোগিতা করার পাশাপাশি কাউন্সিলরদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে বেশ কয়েকটি বিল পাস করার অভিযোগ ওঠে চেয়ারম্যান রীতা দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তোলেন পৌরসভারই বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। এরপর থেকে রীতা দাসকে অপসারণ করার দাবিতে চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিক্ষুব্ধ পৌর জনপ্রতিনিধিরা।
যে কারণে স্তব্ধ হয়ে যায় এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ। পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে রিতা দাসকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি আগামী দিনে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের নেরিকে সফল কাউন্সিলাররা একযোগে কাজ করবেন বলে জানান প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা।
তৃণমূলের এক কাউন্সিলর বলেন, “দলের কাউন্সিলরদের মান্যতা দিয়ে দলের ভাবমূর্তিকে ঠিক রাখার জন্য, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।”
প্রাক্তন পৌরপ্রধান ও কাউন্সিলর অসীম সাহা বলেন, “এখনই কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে ওপরমহলে আলোচনা হবে। অপসারণের পক্ষে ১৫ জন ভোট দিয়েছেন।”

