Kunal Ghosh: ‘আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে, আইনে কী করা যায় মুখ্যমন্ত্রী জানেন…’ ৭ তারিখ বড় কিছু হওয়ার আভাস কুণালের

Kunal Ghosh: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির রায় প্রসঙ্গে কুণাল বললেন, " সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, সকলের চাকরি যেতে পারে না। আর এক বিচারপতি সকলের চাকরি যাওয়ার রায় দিলেন। অবিচার। কোনও গ্রেফতার হওয়া বা অভিযুক্তকে ডিফেন্ড করছি না। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বাঁচাতে কোনও কোর্টে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি।"

Kunal Ghosh: আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে, আইনে কী করা যায় মুখ্যমন্ত্রী জানেন... ৭ তারিখ বড় কিছু হওয়ার আভাস কুণালের
কী বললেন কুণাল ঘোষ?Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 04, 2025 | 7:42 PM

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের কলমের খোঁচায় এক লহমায় চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার জন! বৃহস্পতিবার থেকে বারবার সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে কান্নাহারাদের মুখ। বৃহস্পতিবার সে অর্থে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে, যাঁকে বারবার রাস্তায় নেমে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে। এবার চাকরিহারাদের উদ্দেশে কুণাল বললেন, “বিপদে যারা পড়েছে, তাদের পাশে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।”

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির রায় প্রসঙ্গে কুণাল বললেন, ” সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, সকলের চাকরি যেতে পারে না। আর এক বিচারপতি সকলের চাকরি যাওয়ার রায় দিলেন। অবিচার। কোনও গ্রেফতার হওয়া বা অভিযুক্তকে ডিফেন্ড করছি না। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বাঁচাতে কোনও কোর্টে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি।” কিন্তু তিনি প্রশ্ন তুললেন, “যাঁদের কোনও দোষ নেই, তাঁরা কেন বিপর্যয়ে পড়বেন? সকলকে জলে ফেলে দেওয়া হল। এই রায় সমর্থনযোগ্য নয়।”

কুণাল ঘোষ দাবি করছেন, মুখ্যমন্ত্রী চাকরিহারাদের পাশে রয়েছেন। তিনি কিছু একটা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি। কুণাল বললেন, “৭ তারিখ তিনি কী করছেন, তিনি কী ভাবছেন, জানাবেন। বিপদগ্রস্তদের পাশে আছেন।” কুণাল জানিয়েছেন, আইনে কী করা যায়, কী সম্ভব প্রশাসনিক ভাবে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সমস্তটাই দেখছেন। কুণালের কথায়, “সমস্ত দিক মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দেখছেন। যেটা বৈধ বলে মনে করছেন সেটা হবে। কী করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। যাঁরা চাকরি খাওয়ায় পৈশাচিক উল্লাসে নৃত্য করছেন, তাঁদের কিছু বলার দরকার নেই।
কীসে ভালো হয় সেটা মমতা বন্দোপাধ্যায় জানেন৷ সব খতিয়ে দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন৷”

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার গ্রেস মার্কসের দাবি তুলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “যারা ২০১৬ সাল থেকে পড়াচ্ছেন, তারা কলেজ স্তরের বিষয় পড়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কিন্তু স্কুল স্তরে পড়ান। এতদিন তারা শিক্ষাদানের বাইরে ছিলেন। তাই SSC নিয়োগে প্রতি বছরের জন্য কিছু নম্বর সংযোজন করা হোক। এত বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা স্বরূপ তাঁদের কিছু গ্রেস মার্কস দিক এসএসসি। অন্তত এই দিকটা দেখুক সরকার।” সে প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “এখন পৈশাচিক আনন্দ করে জ্ঞান দেওয়ার দরকার নেই৷”