কলকাতা : পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিশোরীকে। আর প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু। কালিয়াগঞ্জের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় যখন উত্তাল গোটা রাজ্য, তখন পুলিশের ওপরেই ভরসা রাখার কথা বলছে শাসক দল। ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণেই আত্মহত্যা নয় তো? সেই তত্ত্বের ওপরেই জোর দিচ্ছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, গণধর্ষণ নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তা নিয়েও রবিবার সাফাই দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে, যেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ ওই ছাত্রীর দেহ হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিয়োকে সামনে রেখে নিশানা করেছে পুলিশ ও প্রশাসনকে।
রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। পুলিশ দেহে ময়নাতদন্ত করিয়েছে। ময়নাতদন্ত ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে। পুলিশ প্রশ্নের উত্তর দেবে। দল এ বিষয়ে কিছু বলবে না।’ তবে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন কুণাল ঘোষ।
তিনি উল্লেখ করেন, কেন্দ্রের রিপোর্টেই বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ নিরাপদতম রাজ্য। গণহত্যা ধর্ষণ বাম জমানায় হত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কুণাল বলেন, মৃত্যু অত্যাচারে না অভিমানে, রাজনীতি না ব্যক্তিগত সম্পর্ক? তা তদন্ত করে দেখতে হবে। তদন্তের আগেই বিজেপি মন্তব্য করছে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সমাজ বিরোধীদের মতো আচরণ করছে, গুণ্ডামি করছে। বিজেপি শকুনের রাজনীতি করছে। কার সঙ্গে কী সম্পর্ক, জনে জনে পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।’
ভিডিয়ো প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র বলেন, ‘ভিডিয়ো দেখে আমাদেরও খারাপ লেগেছে। কিন্তু পুলিশকে কেন ছুটতে হল, কারা তাড়া করল, ক্যামেরার লেন্সের বাইরে কী হল, কারা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করল, তা না জেনেই বিজেপি যে মন্তব্য করছে, তা নিন্দাযোগ্য।’