AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kunal on Anubrata’s Dialogue: কেষ্টর বাণী কুণালের মুখে! নকুলদানা-জল দিয়ে ঢাকের বাদ্যি শোনাতে নিদান

Kunal Ghosh: কয়েক মাস আগেও বীরভূমের বেতাজ বাদশা হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলকেই বুঝতেন রাজ্যবাসী। কিন্তু কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ এখন জেলবন্দি তিনি। চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো হোক বা নকুলদানা-গুড় বাতাসা। কেষ্ট কারাগারে থাকলেও অতীতে তাঁর দেওয়া বিভিন্ন নিদানের ব্যবহার যে বন্ধ হয়নি তা ফের স্মরণ করালেন কুণাল।

Kunal on Anubrata's Dialogue: কেষ্টর বাণী কুণালের মুখে! নকুলদানা-জল দিয়ে ঢাকের বাদ্যি শোনাতে নিদান
অনুব্রতের ডায়লগ কুণালের গলায়Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2024 | 6:51 AM
Share

কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের নিদানের প্রতিধ্বনি কুণাল ঘোষের কথায়। রবীন্দ্র সঙ্গীত নয়, বিরোধীদের চড়াম চড়াম ঢাদের বাদ্যি শোনানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। নকুলদানার পর জল দিতেও বলেছেন তিনি। রবিবার তৃণমূলের ধরনা মঞ্চ থেকে এই কথা শোনা গেল কুণালের গলায়। মুখ্যমন্ত্রী নাম ধরে যে ডেকে অশালীন ভাষায় যে সমস্ত বিরোধীরা আক্রমণ করেন, তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা করার পরামর্শ কর্মীদের দিলেন কুণাল। এ বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে শুভেন্দু অধিকারীকেও তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নাম ধরে আক্রমণের জন্য।

কয়েক মাস আগেও বীরভূমের বেতাজ বাদশা হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলকেই বুঝতেন রাজ্যবাসী। কিন্তু কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ এখন জেলবন্দি তিনি। কেষ্ট কারাগারে থাকলেও অতীতে তাঁর দেওয়া বিভিন্ন নিদানের ব্যবহার যে বন্ধ হয়নি তা ফের স্মরণ করালেন কুণাল। চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো হোক বা নকুলদানা-গুড় বাতাসা। বিভিন্ন সময় ভোটের আগে অনুব্রতের এই সব ‘আতিথেয়তা’ (বিরোধীরা বলেন হুমকি) নিয়ে চর্চা চলেছিল বিস্তর। কেষ্টর নাম না নিলেও তাঁর দেখানো পথই যে বিরোধীদের ‘জব্দ’ করার উপায়, তা এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।

তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নাম ধরে এরা গালাগাল দেয়। রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মানে এই নয়, যে সিবিআই-ইডি দেখিয়ে একের পর এক অসভ্যতা করে যাবে বিজেপি। আর তৃণমূল আঙুল চুষবে। তৃণমূল এই সব অসভ্যতার জবার মানুষের ভোটে দেবে।” এর পরই কুণালের হুঁশইয়ারি, “তৃণমূল রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনায়। এ বার আমাদের দলের নেতানেত্রীদের বলতে হবে। এক বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও রবীন্দ্রসঙ্গীত নয়। রেজাল্টের দিন বিকালে ডিজে বাজাবো সারা বাংলায়। আমাদের নেত্রীকে নাম রোজ নাম ধরে ধরে আক্রমণ করবে। আর রসগোল্লা খাওয়াব ওদের? হবে না। অনেক হয়েছে। আর হবে না। বীরভূমে নকুলদানা দিয়ে যদি জল না দেওয়া হয়, যদি আবার চড়াম চড়াম করে ঢাকের বাদ্যি না শোনানো হয়। তাহলে এরা করেই যাবে কুৎসা। অপসংস্কৃতি তৈরি করেছে। কোনও অবস্থায় আমরা এগুলো হতে দেব না।” কুণালের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিত বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।