কলকাতা : কালী বিতর্কে রাজ্যের উপর চাপ বাড়িয়ে শতাধিক সাধু-সন্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দেখা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে। এই নিয়ে কড়া ভাষায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, “রাজভবন যদি এখন রাজনৈতিক কর্মসূচির জায়গা হয় এবং সত্যি-মিথ্যে না জেনে যদি শুধুমাত্র তৃণমূল ও সরকারের বিরোধিতা করার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে কে কী করতে পারে? তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই মা কালীকে কোনওরকম অসম্মান করেনি।” উল্টে বিজেপির দিকেই পাল্টা আঙুল তোলেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের অতীতে দুর্গাকে নিয়ে মন্তব্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
এর পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও একহাত নেন কুণাল ঘোষ। বললেন, “রাজ্যপাল সক্রিয়ভাবে বিজেপির মুখপাত্র। তিনি এই রাজ্যে বিজেপির অপদার্থ নেতাদের হাল দেখে নিজেই বিজেপির প্রচারকের ভূমিকা নিয়েছেন। বিজেপির এজেন্ট। বিজেপির দালাল। তিনি যদি মনে করেন রাজ্যপাল পদের অবমাননা করে, ব্যক্তিগতভাবে বিজেপির কাজ করবেন… তো করবেন।” রাজভবনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শতাধিক সাধু সন্তদের ভিড় প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা সাবধানী সুর শোনা গেল কুণালের গলায়। বললেন, “যাঁদের নিয়ে গিয়েছেন, সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে যদি কোনও সন্ন্যাসী গিয়ে থাকেন, কোনও ধর্মগুরু গিয়ে থাকেন, তবে তাঁদের ভুল বুঝিয়ে, বিভ্রান্ত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে কোটি কোটি কালী ভক্ত রয়েছেন, তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
তৃণমূল মুখপাত্রের বক্তব্য, “তৃণমূল কংগ্রেসের কালীকে অপমান করার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে কোনও দেবতা বা দেবীর পুজো কিংবা আচার বিভিন্ন মতে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে হতে পারে। দেবতাকে বিভিন্ন মতে কেউ কিছু নিবেদন করতে পারেন। এর মধ্যে কেন তৃণমূল কংগ্রেস ঢুকবে? তৃণমূল মনে করে, সংবিধানে সবার অধিকার রয়েছে সমস্ত রকম ধর্ম পালনের। কোনও আরাধ্য দেব-দেবীকে তৃণমূল অপমান করে না।