কলকাতা: শতাব্দী রায়কে (Shatabdi Roy) দলে ধরে রাখতে কোনও ফাঁক রাখছে না তৃণমূল। শুক্রবার বিকেলেই বীরভূমের তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে সোজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে দৌড়লেন কুণাল ঘোষ। ইতিমধ্যেই রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়েছে সেখানে। মুকুল রায়ের ফোনের পর চাপ বেড়েছে শাসকদলেও। শতাব্দী মুখে যতই বলুন, ‘বিজেপিতে যাওয়ার কথা ভাবেননি’, মোড় ঘুরতে যে বেশি সময় লাগে না তাও গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রমে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তড়িঘড়ি তাই অভিষেকের দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় শতাব্দীকে।
এদিন সকাল থেকেই শতাব্দী রায়কে ঘিরে নাটকীয় একের পর এক পর্ব। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ তোলেন তিনি। জানিয়ে দেন, শনিবার ফেসবুক লাইভে নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। শতাব্দীর এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয় নতুন করে জল্পনা। এরপরই সাংসদের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে ছোটেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন: শতাব্দীর বাড়িতে বসে ‘বন্ধু’র আড্ডা, সামনেই এল ‘মুকুলদা’র ফোন
সূত্রের খবর, কুণালের সামনেই শতাব্দীকে ফোন করেন মুকুল রায়। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের কথাও হয়। মুকুল নাকি শতাব্দীকে দিল্লিতে দেখা করার কথাও বলেন। শুক্রবারই বিমানে রাজধানী উড়ে যাওয়ার কথা তাঁর। পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে যাওয়ার আগে সবরকম চেষ্টায় মরিয়া তৃণমূল। সূত্রের খবর, বিকেলের পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে পৌঁছন শতাব্দী রায়। সঙ্গে কুণাল ঘোষ। শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক।