AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শতাব্দীর বাড়িতে বসে ‘বন্ধু’র আড্ডা, সামনেই এল ‘মুকুলদা’র ফোন

মুকুল রায় তৃণমূলে থাকাকালীন শতাব্দীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল। শোনা যাচ্ছে, এদিনই দিল্লিতে যাবেন শতাব্দী। মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরা তো দিল্লিতেই আছেন। ফলে দু'য়ে দু'য়ে চার করছেন অনেকেই।

শতাব্দীর বাড়িতে বসে 'বন্ধু'র আড্ডা, সামনেই এল 'মুকুলদা'র ফোন
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jan 15, 2021 | 6:35 PM
Share

কলকাতা: সকাল থেকেই শিরোনামে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। দলের একাংশের বিরুদ্ধে ‘বেসুরো’ হওয়ার পরই তাঁকে ঘিরে হাজার জল্পনা। এরইমধ্যে শনিবার কী যেন একটা ‘সিদ্ধান্ত’ নেবেন বলেও জানিয়েছেন। এ খবর ছড়ানোর পরই দেখা গেল, শতাব্দীর বাড়িতে ‘বন্ধু’র আনাগোনা। ঘন ঘন ফোন করছেন ‘শুভাকাঙ্খী’রাও।

শুক্রবার দুপুরেই খবর এল শতাব্দীর আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে কুণাল ঘোষকে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। পরে কুণাল নিজেই জানালেন, ‘অনেক দিনের পুরনো বন্ধু শতাব্দী’ তাঁকে বহুবার নিমন্ত্রণ করেছেন। কিন্তু যাওয়াই হচ্ছিল না। তাই এদিন একটু ‘গল্প’ করতে এসেছেন। এটা একেবারেই নাকি নির্ভেজাল আড্ডা। ওদিকে আবার রটেছে, শতাব্দীকে ধরে রাখতে তৃণমূলের এবারের দূত কুণাল। যেমন শুভেন্দু আগলাতে দল ভরসা রেখেছিলেন সৌগত রায়ে কিংবা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ধরে রাখতে’ বারবার যেমন এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

আরও পড়ুন: গ্রেফতার রোজভ্যালি কর্তার স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডু

তবে কুণাল ঘোষের এই উপস্থিতি সত্যিই আলাদা। শতাব্দী তাঁর বহু দিনের পরিচিত। দু’জনের সম্পর্কও অনেকটাই সহজ। সূত্রের খবর, কুণালের সামনেই শতাব্দীকে ফোন করেন তাঁর পুরনো রাজনৈতিক সতীর্থ মুকুল রায়। টুকটাক খোঁজ খবরের পর সটান মুকুল নাকি বলেন, দিল্লিতে এদিনই যেন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। শতাব্দীও নাকি এই সাক্ষাতে খুব একটা অরাজি নন। মুকুল রায় তৃণমূলে থাকাকালীন শতাব্দীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল। শোনা যাচ্ছে, এদিনই দিল্লিতে যেতে পারেন শতাব্দী। মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরা তো দিল্লিতেই আছেন। ফলে দু’য়ে দু’য়ে চার করছেন অনেকেই।

শতাব্দী বিজেপিতে যাচ্ছেন না যেমন বলেছেন, সংযোজন করে রেখেছেন শনিবার অবধি তাঁর ভাবনাচিন্তার দ্বার অবারিত। তাই নতুন কোনও ভাবনা যে আসবে না, সে কথাও জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে দলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়ও ফোনে কথা বলেছেন শতাব্দীর সঙ্গে। সৌগত খোলাখুলিই জানিয়েছেন, “হয়ত বীরভূমে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে শতাব্দীর। জেলা নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ১৫ মিনিট কথা হয়েছে। তবে এখনই ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।”

তবে এদিন কুণাল ঘোষের শরীরী ভাষায় অনেক ইঙ্গিতই প্রচ্ছন্ন ছিল। হাসিমুখে বলছিলেন বটে ‘আমি বন্ধুর সঙ্গে গল্প করতে গিয়েছিলাম’, তবে তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত হাসির আড়ালে চোখে মুখে ধরা পড়ছিল বিশেষ ইঙ্গিত। মনে হচ্ছিল, সবটাই জেনে গিয়েছেন। তবু আপাতত তা গোপন রাখতে চাইছেন। তাই বোধহয় সংবাদমাধ্যমের সামনেও খুব কৌশলী মন্তব্য করে গিয়েছেন কুণাল। রাজনৈতিকমহল বলছে, শতাব্দী যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর সময়সীমা বেঁধেই দিয়েছেন, শনিবার অবধি না হয় অপেক্ষাই করা যাক।