কলকাতা: গ্রেফতার হওয়ার পর দু সপ্তাহও কাটেনি। সিবিআই হেফাজতে রহস্যজনকভাবে লালন শেখের মৃত্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। রাজ্যে বিভিন্ন মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতা নিয়ে যখন সরব শাসক দল, তখন সিবিআই ক্যাম্পে বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার হওয়ায় শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছে শাসক-বিরোধী দু পক্ষই।
সোমবার বিকেলে বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পে মৃত্যু হয়েছে ভাদু শেখ ঘনিষ্ঠ লালন শেখের। এরপরই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে লালনের পরিবার। লালনের স্ত্রী এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে ভেঙে পড়েন। তিনি বারবার বলতে থাকেন, ‘আমার স্বামীকে সিবিআই মেরে ফেলেছে।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘দেখতে হবে কোথায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কাউকে বাঁচাতে হল কি না সেটাও দেখা উচিত।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্য পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সোমবার হাজরার সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় কোর্টে গিয়েছিল। তবে, সবটাই শোনা।’ মানবাধিকার কমিশনে জানানো ও ময়নাতদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
লালনের মৃত্যু প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর নাম বগটুই-কাণ্ডে শোনা যাচ্ছিল। নিশ্চিতভাবে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিবিআই অফিসারদের ওপর আমরা আস্থা রাখি। যথেষ্ট দক্ষ অফিসাররা আছেন। কিন্তু বিজেপি যখন সিবিআই-কে ব্যবহার করে, তখন প্রশ্ন তো উঠবেই।’