AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TMC expels Kuntal-Shantanu: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার কুন্তল-শান্তনুকে বহিষ্কার তৃণমূলের

Recruitment Scam: কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করা হল তৃণমূল থেকে।

TMC expels Kuntal-Shantanu: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার কুন্তল-শান্তনুকে বহিষ্কার তৃণমূলের
কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়
| Updated on: Mar 14, 2023 | 4:23 PM
Share

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তাঁকে দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) বহিষ্কার করা হল তৃণমূল থেকে। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এই দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু।

  1. নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের একের পর এক নেতার নাম জড়ানো প্রসঙ্গে শশী পাঁজার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক দল জড়িত। বহু নেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন তোমায় জেলে ভরে দেব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দুর্নীতি সহ্য করে না। আমরা সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। কুন্তল ও শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
  2. বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন শশী পাঁজা। বললেন, ‘দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গিয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানো শুভেন্দু অধিকারী বহাল তবিয়তে ঘুরে বেরাচ্ছেন।’
  3. শশী পাঁজার সুরে সুর মেলালেন ব্রাত্য বসুও। তাঁরও এজেন্সির প্রতি একটাই প্রশ্ন। ব্রাত্য বললেন, ‘আমাদের অপরাধ, আমরা তিনবারের নির্বাচিত সরকার। আপনারা হয়তো আরও তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করবেন। করুন, কিন্তু বিজেপি নেতাদের একবারও ডাকবেন না? নারদা ও সারদা কোনও ট্রায়াল এখনও হয়নি।’
  4. রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, ১৫-২০ জন বাতিল হওয়া শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সঙ্গে তৃণমূলের যেমন যোগাযোগ ছিল, তেমনই সিপিএম ও বিজেপিরও আছে। বললেন, ‘একটি নির্দিষ্ট পার্টি একটি নির্দিষ্ট সংস্থা চালাচ্ছে, যাতে একটা নির্দিষ্ট পার্টিকে ছোট করা যায়। আপনি তৃণমূল কংগ্রেস করেন, তাই আপনি দুর্নীতিগ্রস্ত, এই রকম একটা বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা মারফত। পাসপোর্ট রিনিউ করা হলে কি তা দুটো পাসপোর্ট? শাসক দল হওয়াটাই কি আমাদের অপরাধ?’
  5. তিনি আরও বলেন, ‘বিধানসভায় হুমকি শোনার পর এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে কারা ইডি সিবিআই চালাচ্ছে। যে বিরোধিতা করছে তার বাড়িতেই ইডি সিবিআই পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করছি। আমরা অসহায় বোধ করছি।’
  6. ব্রাত্য বলেন, ‘আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু আগের সব জিতেছি, পঞ্চায়েতেও জিতব। যে তথ্য তুলে ধরছি, তা কেন ইডি সিবিআই -এর নজরে আসছে না? খনির মধ্যে কী আছে আমরা জানতে চাই।’