কলকাতা: নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে। পার্থ-অর্পিতার গ্রেফতারি দিয়ে যে তালিকা শুরু হয়েছিল, তা এখন বাড়তে বাড়তে একুশে এসেছে ঠেকেছে। আর এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh)। টেনে আনলেন কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়ালের (Mousumi Kayal) নাম। তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কোনও মহিলার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে কুন্তল বললেন, ‘তাপসের অফিসে অনেক মহিলা কাজ করতেন। তাঁদের সঙ্গে নিশ্চয়ই হয়েছে। আমি যেটুকু জানতাম, মৌসুমি কয়াল ছিলেন তাপস মণ্ডলের এজেন্ট।’ কুন্তলের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক ছিল না। তিনি যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শিকার, তাও বোঝানোর চেষ্টা করেন কুন্তল।
যদিও কামদুনির মৌসুমী প্রসঙ্গে কুন্তল ঘোষ যে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই বলেই দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তাপস মণ্ডলের। কুন্তলকে ‘ম্যাজিশিয়ান’ বলেও খোঁচা দিয়েছেন তাপস। উল্লেখ্য, এর আগে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও প্রকাশ্যে এনেছিল এই কুন্তলই। যদিও এখনও পর্যন্ত ইডি হৈমন্তীকে তলব করেনি। এবার কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়ালের বিষয়েও বিস্ফোরক দাবি করলেন কুন্তল।
উল্লেখ্য, তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের অফিসে এককালে কাজ করতেন মৌসুমী কয়াল। টিভি নাইন বাংলাকে অতীতে সেই কথা নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। দীন দয়াল উপাধ্যায় কেন্দ্রীয় কারিগরি শিক্ষা প্রোজেক্টের কাজ করতেন মৌসুমী। কিন্তু পরে বেতন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কুন্তল ঘোষের এই বিস্ফোরক দাবির বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল মৌসুমী কয়ালের সঙ্গেও। তিনি বলছেন, এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আগেও বলেছিলাম, ওই অফিসে আমি ইন্টারভিউ দিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের বেতন দেওয়া হয়নি। আমরা দীন দয়াল উপাধ্যায় প্রোজেক্টের কাজ করতাম। সেই কথা যদি তাপস মণ্ডলকে সিবিআই জিজ্ঞেস করে, তাহলে তিনিও বলতে পারবেন।’