
কলকাতা: ৪৪ নম্বর রুটে একটি বাস চুরি করে পালাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। ভোর রাতে ঝড়ের গতিতে ছুটছিল বাস। অন্যদিক থেকে বিয়ে সেরে বাড়ি ফিরছিল একটি চার চাকা। হঠাতই দুরন্ত গতির বাস ধাক্কা মারে সেই গাড়ির পিছনে। একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি। বাসের সামনের অংশও দুমড়ে যায়। গাড়ির ভিতরেই পিষ্ট হয়ে যায় একই পরিবারের তিন সদস্য। দুমড়ে যাওয়ার গাড়ির সিটের নীচে আটকে থাকে রক্তাক্ত শরীর। ভোর রাতে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনা লেকটাউনে। মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের তিন জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলাও রয়েছেন। ছোটো গাড়ির চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানাচ্ছে, দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সেভাবে কেউ ছিলেন না। তবে আহত চালকের বয়ান আর রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্তাদের বয়ান অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ভোর তিনটে নাগাদ। লেকটাউনে ট্রাফিক গার্ডের সামনেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা যাচ্ছে, ৪৪ নম্বর রুটে একটি বাস একটি মারুতি গাড়িকে ধাক্কা মেরেছে। অভিযোগ, বাসটি ওই রুটেরই এক চালক চুরি করে পালাচ্ছিলেন। মারুতি গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বাড়ির মেয়ের বিয়ে ছিল। সেই অনুষ্ঠান ফিরে ভোররাতে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। পরিবারের তিন সদস্যেরই মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা মানিকতলার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনার পর ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রত্যেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চালক আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন।
ঘাতক বাসটিকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। অভিযুক্ত বাস চালককে গ্রেফতার করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ। ভিআইপি রোড এমনিই দুর্ঘটনাপ্রবণ। সেখানে রাতে বেপরোয়া গতির জেরে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার অদূরেই ট্রাফিক কিয়স। রাতের শহরে কেন ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকছে না, তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠল।