AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR-এ দেখাতে হবে জমির পরচা, কীভাবে বের করবেন এই গুরুত্বপূর্ণ নথি?

SIR Document: জমির পরচা হল ভূমি জরিপের পর জমির মালিকানার প্রমাণপত্র। এটি একটি সরকারি নথি যেখানে জমির মালিকের নাম, জমির আয়তন এবং অন্যান্য তথ্য থাকে। এই জমির পরচা বা খতিয়ান জমির আইনি পরিচয় বহন করে।

SIR-এ দেখাতে হবে জমির পরচা, কীভাবে বের করবেন এই গুরুত্বপূর্ণ নথি?
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: TV9 বাংলা
| Updated on: Nov 09, 2025 | 1:58 PM
Share

কলকাতা: রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision)। বর্তমানে এসআইআর(SIR)-র প্রথম ধাপ চলছে। বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) বিলি করা হচ্ছে। নিজের তথ্য যেমন পূরণ করতে হবে, তেমনই ২০০২ সালের সংশোধিত ভোটার তালিকায় নিজের বা বাবা-মায়ের নাম রয়েছে কি না, তা উল্লেখ করতে হচ্ছে। যদি কেউ এই তথ্য না দিতে পারেন, তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আপনার কাছে সুযোগ থাকবে নিজেকে বৈধ ভোটার হিসাবে প্রমাণ করার। এর জন্য আপনাকে দেখাতে হবে নির্বাচন কমিশনের ধার্য করা ১১টি নথির মধ্যে কোনও একটি। আর এই নথিতেই উল্লেখ রয়েছে জমির পরচা(Land Record)-র। কী এই জমির পরচা? কীভাবে তৈরি করা যায় পরচা?

জমির পরচা হল ভূমি জরিপের পর জমির মালিকানার প্রমাণপত্র। এটি একটি সরকারি নথি যেখানে জমির মালিকের নাম, জমির আয়তন এবং অন্যান্য তথ্য থাকে। এই জমির পরচা বা খতিয়ান জমির আইনি পরিচয় বহন করে। একটি নির্দিষ্ট মৌজার জমির মালিকানা ও ইতিহাসের রেকর্ড হল পরচা।

পরচায় কী কী তথ্য থাকে?

একটি পর্চায় সাধারণত এই তথ্যগুলি থাকে-

মৌজা: জমির অবস্থান যে গ্রামে বা প্রশাসনিক এলাকায় (মৌজায়) সেটি উল্লেখ থাকে।

খতিয়ান নম্বর: জমির মালিকানা রেকর্ড নম্বর।

দাগ নম্বর/প্লট নম্বর: নির্দিষ্ট জমির চিহ্নিতকরণ সংখ্যা।

জমির মালিকের নাম ও ঠিকানা: বর্তমান আইনসম্মত মালিকের নাম এবং বিবরণ থাকে।

জমির পরিমাণ: জমির আয়তন কত একর, তা উল্লেখ থাকবে।

জমির ধরন: জমিটি কৃষি নাকি আবাসিক বা বাণিজ্যিক, তা উল্লেখ করা থাকে।

রাজস্বের পরিমাণ: সরকারকে কত টাকা ভূমি রাজস্ব দিতে হয়, তা উল্লেখ থাকে।

লেনদেনের ইতিহাস: সম্পত্তিটি বন্ধক, ঋণ বা অন্য কোনও আইনি দায় থেকে মুক্ত কি না, সেই তথ্য থাকে।

কী কী কাজে লাগে জমির পরচা?

মালিকানা প্রমাণ: জমির পরচা জমির মালিকানার আইনি প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

জমির ইতিহাস: এটি জমির পূর্ববর্তী মালিকানা এবং হস্তান্তরের ইতিহাস থাকে পরচায়। মালিকানা নিয়ে সমস্যা হয় না পরচা ঠিক থাকলে।

আইনি সুরক্ষা: সম্পত্তি বা জমিতে কোনও আইনি বা আর্থিক জটিলতা রয়েছে কি না, তা জানার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

ব্যাঙ্ক ঋণ: কোনও কারণে ঋণের প্রয়োজন পড়লে, জমি বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়া যায়। এক্ষেত্রে পরচা জরুরি।

সরকারি সুবিধা: বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য জমির পরচা জরুরি।

কোথা থেকে পাওয়া যায় পরচা?

 ভূমি অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস, জেলা ডিসি অফিস এবং সেটেলমেন্ট অফিস থেকে পরচা পাওয়া যায়।

কীভাবে জমির পরচা বের করবেন?

জমির পরচা বের করার জন্য –

  • প্রথমে e-porcha.com বা banglarbhumi.gov.in – ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
  • এবার সিটিজেন সার্ভিস অপশনে ক্লিক করুন।
  • এর পরের ধাপে ‘সার্ভিস ডেলিভারি’ অপশনে গিয়ে আরওআর রিকোয়েস্ট (ROR Request)-এ ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর আপনার জেলা, উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করে খতিয়ান বা দাগ নম্বর দিয়ে সার্চ করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন – বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা, খতিয়ান/দাগ নম্বর ইত্যাদি দিয়ে সার্চ করুন।
  • আপনার বিভাগ, জেলা, এবং উপজেলা নির্বাচন করুন।
  •  খতিয়ান বা দাগ নম্বর লিখুন এবং “সাবমিট” বা “সার্চ” বাটনে ক্লিক করুন।
  •  আপনার পরচার তথ্য দেখা যাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিন্ট বা ডাউনলোড করে নিন।
  • সাধারণত ১০ টাকা চার্জ লাগে এই পরচা বের করার জন্য।
  • এছাড়াও অফলাইনে সরাসরি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা ভূমি অফিস অথবা জেলা ডিসি অফিসে গিয়েও পরচা তৈরি করা যেতে পারে।