কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam Scam) জোরদার বিতর্কের মধ্যেই ২০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। হলফ নামাও জমা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ১৮৩ জনের ব্যতিক্রমী নিয়োগের কথাও তুলে ধরেছে কমিশন। কিন্তু যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁরাও ‘প্রতারণার’ শিকার বলে দাবি। টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনে তাঁদের ‘আইনি সাহায্যের’ কথাও বলেও মনে করছেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা আক্রমণ শানালেন আর এক বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ (Lawyer Arunava Ghosh)
বিকাশের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে অরুণাভর দাবি, “বিষয়টি হল জুতো মেরে গরুদান। করতে গেলেন কেন মামলা? মামলা তো বিকাশদার উদ্যোগেই হয়েছে। কয়েকজন লোক মিলে করেছে। এতজনের চাকরি খেয়েছে। এখন আবার এদের হয়ে দাঁড়াবে। হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে বিষয়টি।”
এদিকে এর আগে যাদের চাকরি চলে গিয়েছে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে গিয়ে বিকাশ বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরাও প্রতারণার শিকার। তাঁদের অভিযোগ করা উচিত। তাঁরা যদি আসেন, আমার কাছে সাহায্য চান, আমি সাহায্য করব। যাঁরা এত বড় প্রতারণার শিকার হলেন, তাঁদের টাকা ফেরতের জন্য বিভিন্ন পথ অবলম্বন করা দরকার।” এরই পাল্টা দিতে এদিন অরুণাভ বলেন, “এই ছেলেগুলি যখন চাকরি পেয়েছে, তাঁদের কেউ না কেউ দিয়েছে। আমি তো গোড়া থেকেই বলছি অসহায়। এদের তো সুযোগ দেওয়া হয়নি আদালতে। বিকাশদা তখন কী করছিল?” পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “অরুণাভ ঘোষ বিষয়টা বোঝেননি। যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের তো চাকরি যেতেই হত। যাঁদের টাকা গিয়েছে তাঁদের টাকা উদ্ধারে আইনি সাহায্য লাগলে আমি অবশ্যই করব। যাঁরা তাঁদের প্ররোচিত করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে আমি সাহায্য করবই।”