
কলকাতা: নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত অযোগ্যদের বসতে দিতে হবে। এই নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় এ দিন তাঁর প্রশ্ন, “একটা ভুলের জন্য কতবার শাস্তি? আইনে একবার। প্যানেল বাতিলের পর তাহলে আবার কেন শাস্তি?”
রাজ্যের হয়ে এজি বলেন, “যদি সব প্রক্রিয়া খারাপ ভাবে হয়েই থাকে, তাহলে যাঁরা পাশ করে বেরিয়ে গেলেন তাঁরা কীভাবে সেটা করলেন?” আদালতে রাজ্যের সওয়াল, টার্মিনেশন বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। বাতিলের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তাদের নিয়োগে বাধা নাও থাকতে পারে। যদি সেটা হত তাহলে অর্ডারে সেই ভাবে লেখা থাকত। শীর্ষ আদালতও এবিষয়ে ভেবেছে। দীর্ঘ তিরিশ বছর কেউ চাকরি করছেন। সেটা কোনও কারণ দেখিয়ে কেড়ে নিলেও তাঁর অভিজ্ঞতাকে স্বীকার করতে হবে।
ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, যখন একটা বড় ইস্যু উঠে আসে। সেটা বাতিল হয় তখন সার্ভিস কত বছর সেটা নাও গ্রহণীয় হতে পারে। এখনো পর্যন্ত ২ লক্ষ ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৮৮ জন চিহ্নিত অযোগ্য আবেদন করেছেন? স্কুল সার্ভিস কমিশন উত্তরে জানায়, “মোট চিহ্নিত অযোগ্য হল ১,৮০১।”
আজ কমিশনকে প্রশ্ন বিচারপতি সৌমেন সেনের প্রশ্ন, “বেআইনি হোক বা অনিয়ম করে হোক এই চিহ্নিত অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। করেছেন। ফলে এদের অভিজ্ঞতা কীভাবে কেড়ে নেওয়া যায় ? এটাই আপনাদের বক্তব্য?” উত্তরে কমিশন জানায়, “হ্যাঁ, একদমই তাই। চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগে অংশ নিতে না দেওয়া হলে তাঁদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।” কোর্টে সওয়াল কল্যাণের।
মামলার ব্যাকগ্রাউন্ড