Calcutta High Court on SSC: ‘চিহ্নিত অযোগ্যদের সুযোগ না দিলে অপূরণীয় ক্ষতি’, হাইকোর্টে আবার বললেন কল্যাণ

Calcutta High Court on SSC: রাজ্যের হয়ে এজি বলেন, "যদি সব প্রক্রিয়া খারাপ ভাবে হয়েই থাকে, তাহলে যাঁরা পাশ করে বেরিয়ে গেলেন তাঁরা কীভাবে সেটা করলেন?" আদালতে রাজ্যের সওয়াল, টার্মিনেশন বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। বাতিলের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তাদের নিয়োগে বাধা নাও থাকতে পারে।

Calcutta High Court on SSC: চিহ্নিত অযোগ্যদের সুযোগ না দিলে অপূরণীয় ক্ষতি, হাইকোর্টে আবার বললেন কল্যাণ
হাইকোর্টে কী বললেন কল্যাণ?Image Credit source: Facebook

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 09, 2025 | 5:04 PM

কলকাতা: নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত অযোগ্যদের বসতে দিতে হবে। এই নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করছেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় এ দিন তাঁর প্রশ্ন, “একটা ভুলের জন্য কতবার শাস্তি? আইনে একবার। প্যানেল বাতিলের পর তাহলে আবার কেন শাস্তি?

রাজ্যের হয়ে এজি বলেন, “যদি সব প্রক্রিয়া খারাপ ভাবে হয়েই থাকে, তাহলে যাঁরা পাশ করে বেরিয়ে গেলেন তাঁরা কীভাবে সেটা করলেন?” আদালতে রাজ্যের সওয়াল, টার্মিনেশন বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। বাতিলের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তাদের নিয়োগে বাধা নাও থাকতে পারে। যদি সেটা হত তাহলে অর্ডারে সেই ভাবে লেখা থাকত। শীর্ষ আদালতও এবিষয়ে ভেবেছে। দীর্ঘ তিরিশ বছর কেউ চাকরি করছেন। সেটা কোনও কারণ দেখিয়ে কেড়ে নিলেও তাঁর অভিজ্ঞতাকে স্বীকার করতে হবে।

ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, যখন একটা বড় ইস্যু উঠে আসে। সেটা বাতিল হয় তখন সার্ভিস কত বছর সেটা নাও গ্রহণীয় হতে পারে। এখনো পর্যন্ত ২ লক্ষ ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৮৮ জন চিহ্নিত অযোগ্য আবেদন করেছেন?  স্কুল সার্ভিস কমিশন উত্তরে জানায়, “মোট চিহ্নিত অযোগ্য হল ১,৮০১।”

আজ কমিশনকে প্রশ্ন বিচারপতি সৌমেন সেনের প্রশ্ন, “বেআইনি হোক বা অনিয়ম করে হোক এই চিহ্নিত অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। করেছেন। ফলে এদের অভিজ্ঞতা কীভাবে কেড়ে নেওয়া যায় ? এটাই আপনাদের বক্তব্য?” উত্তরে কমিশন জানায়, “হ্যাঁ, একদমই তাই। চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগে অংশ নিতে না দেওয়া হলে তাঁদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।” কোর্টে সওয়াল কল্যাণের।

মামলার ব্যাকগ্রাউন্ড

  1. নিয়োগে দুর্নীতির জন্য প্রায় ছাব্বিশ হাজারের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। নতুন করে ফের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে চিহ্নিত অযোগ্যরা যাতে পরীক্ষায় বসতে না পারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল কোর্ট।
  2. সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। বিজ্ঞপ্তিও দেয়। তবে অভিযোগ ওঠে, অযোগ্যদেরও পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছিল। এরপর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই তাকে চ্যালেঞ্জ করে একযোগে ৯টি মামলা হয় হাইকোর্টে।
  3. সেই মামলায় গতকালই হাইকোর্টের একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানায় অযোগ্যদের পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমার মধ্যেই সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
  4. এরপর আজ রাজ্যের পক্ষ থেকে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পর্ষদ ও রাজ্য মামলা দায়েরের আবেদন জানায় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। আজ সেই ছিল সেই মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলা শুনবে কোর্ট।