
গত অগস্ট মাসে আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরাই যদি নিরাপদ না হন, তাহলে রোগীদের চিকিৎসার কী হবে? উঠেছে প্রশ্ন। সেই ইস্যুতে বিক্ষোভকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার ফের চিকিৎসকদের মুখোমুখি হতে চলেছেন তিনি। আজ, সোমবার ধন ধান্য স্টেডিয়ামে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা কাজের কাজ করে না। অকাজের কাজ করে। বোধার ক্ষমতা নেই যে কত নিয়োগ আটকে আছে: মমতা।
মৃত্যুর আগে এসএসকেএম-এ প্রতুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে গিয়েছিলেন মমতা। সেদিনের কথা উল্লেখ করে মমতা এদিন বলেন, “আমি গিয়ে ডাকলাম। প্রতুল দা ও প্রতুল দা, আমি মমতা। বিশ্বাস করুন উনি চোখ খুললেন, চোখ দুটো জলে ভরে গেল। হঠাৎ পালস ড্রপ করে গেল ৯৫ থেকে ৯৩-তে। হৃদয়ে ব্যাথা হচ্ছে। চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এসেছে। দুটো হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন কি না জানিনা। ইশারায় বললেন পারবেন না।”
মমতা আরও বলেন, “বই থেকে জেনেছি। আমি রিসার্চ করিনি। আত্মা মারা গেলেও তার মধ্যে একটা বোধ থাকে। তার প্রাণটা কিন্তু থাকে অনেকক্ষণ।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারটা ভাল করলেও বেরবে না। একটা খারাপ কাজ করলে এমন প্রচার হয়, যাতে মনে হয় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কেউ কোনও কাজ করছেন না: মমতা।
বাম আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অবহেলা করা হয়েছে। একজন রাজ্যমন্ত্রী ওই দফতর দেখতেন। আমি নিজের হাতে দফতরটা রেখেছি, কারণ একজন রাজ্যমন্ত্রীর পক্ষে এটা দেখা সম্ভব নয়: মমতা।
এসএসকেএম-এর ১০০ জন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ৭০ জন, নীলরতন সরকার হাসপাতালের ২৫ জন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ২৫ জন, সিএনএমসি-র ২৫ জন, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ৭৫ জন, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের ২২০ জন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ১২০ জন, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ৩০০ জন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ১৫০ জনকে দেওয়া হয়েছে আমন্ত্রণপত্র।
২৬০০ সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকের উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা এই বৈঠকে। সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের চিকিৎসকরা উপস্থিত রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের জন্য ধনধান্য মূল অডিটোরিয়ামের পাশাপাশি আরও দুটি হলে থাকছে বসার ব্যবস্থা। সেখানে হবে লাইভ স্ট্রিমিং। উত্তরবঙ্গ-সহ দূরের জেলা থেকে বাসে করে এসেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। সভায় আমন্ত্রণ পত্রের ভিত্তিতে প্রবেশ করতে পারবেন চিকিৎসকরা। তবে আরজি কর কাণ্ডে যে সংগঠনের নেতৃত্বে বৈঠক চলছিল, সেই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরাম’-এর তরফে কেউ উপস্থিত থাকছেন না।