
কলকাতা: দাবি ছিল ছাত্র নির্বাচনের। কিন্তু দিন শেষে পরিস্থিতি যে এতটা বদলে যাবে, তা ধারণা করতে পারেনি কেউ। শনির সন্ধ্যা গড়াতে গড়াতে যাদবপুরের অন্দরে তৈরি হওয়া স্ফুলিঙ্গটা যেন ফেটে উঠল। বিক্ষোভ, আন্দোলন, আঘাত-প্রত্যাঘাত। গোটা দিনটা কাটল এভাবেই। সন্ধ্যায় দেখা গেল একদিকে প্রতিবাদে মন্ত্রী, সাংসদ ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে, প্রতিবাদে ছাত্ররা। আর তার মাঝে ভোগান্তিতে স্থানীয় বাসিন্দা, নিত্যাযাত্রীরা।
শনির সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীকে অপমান করার অভিযোগ তুলে বাম ও অতিবাম সংগঠনের ছাত্রদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। মিছিলে দেখা যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ, কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী-সহ দলের অন্য কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময় তাদের উল্টো দিকে হাজির হয় বিক্ষোভরত ছাত্ররা। থানা সংলগ্ন অংশেই চলে প্রতিবাদ-পাল্টা প্রতিবাদ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পথে নামে পুলিশ-কর্তারা। ফেলা হয় ব্যারিকেড। যার জেরে দেড় ঘণ্টা মতো থমকে যায় যাদবপুর এলাকার যান চলাচল। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সড়ক পথ হওয়ায় সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় রাজা এস সি মল্লিক রোড এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের দিকের অংশ।
তখনই দেখা যায় বেনজির ছবি। বিরক্তি, ক্লান্তি, সারাদিনের যন্ত্রণা যেন ফেটে বেরিয়ে আসে নিত্যযাত্রীদের শরীর হয়ে। পুলিশের রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ ভেঙে বেরিয়ে যায় একাধিক গাড়ি। এ যেন ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদের পাল্টা প্রতিবাদ দেখায় নিত্যযাত্রীরা। খানিকের জন্য ছত্রভঙ্গ হয় ছাত্রদের কর্মসূচি। এই প্রসঙ্গে এক নিত্যযাত্রী বলেন, ‘ওদের যা দাবিদাওয়া আছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাক, ব্রাত্য বসুর কাছে যাক। সাধারণ মানুষকে কেন হয়রানির মুখে ফেলছে?’