Local Train Resumes: ৫০ শতাংশ যাত্রী মাপবে কীসে? কী বলছে রেল? জানুন
Indian Railway: রেলের যাত্রী সংখ্যা মাপা কর্তৃপক্ষের তরফে কার্যত অসম্ভব। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় রেল চায় রাজ্য সরকার সব রকম সাহায্য করুক।
কলকাতা : লোকাল ট্রেন (Local Train) চালানো উচিৎ কী না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে, শুক্রবারের নির্দেশিকায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল ৫০ শতাংশ সিটিং ক্যাপাসিটি (50% sitting capacity) নিয়ে চালানো হবে লোকাল ট্রেন। অর্থাৎ একটি ট্রেনে যত জনের বসার জায়গা রয়েছে, তার অর্ধেক যাত্রী বসিয়ে ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু লোকাল ট্রেন বলতে আমাদের চোখে যে ছবিটা ভাসে, তার সঙ্গে এই ৫০ শতাংশের হিসেব মেলানো মুস্কিল। লোকাল ট্রেনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার মতো অলিক কল্পনা কি আদৌ বাস্তবায়িত করা সম্ভব? এই বিষয়ে রেলের বেশ কিছু পরিকল্পনা থাকলেও আধিকারিকদের দাবি, ৫০ শতাংশ যাত্রীর হিসেব রাখা কার্যত অসম্ভব।
রেলের আধিকারিকরা মেনে নিয়েছেন যে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানো অবাস্তব। তাঁদের দাবি, মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিলে রেলের কাছে যাত্রী সংখ্যা কমানোর কোনও ক্ষমতা নেই।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (CPRO) একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাইব।’ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানো কি আদৌ সম্ভব? এই প্রসঙ্গে আধিকারিক বলেন, ‘সম্ভব, তবে তার জন্য মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে। এর জন্য আমরা নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ঢেলে সাজাব।’ সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দরকার না পড়লে বেরবেন না।’ যাত্রী সংখ্যা কমানোর জন্য যাত্রীদের কাছেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, এত দিন স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলেছে, তাই এবারও ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে, কোভিড বিধি কতটা মানা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত শিয়ালদা শাখার ৯২২ টি ট্রেনের মধ্যে ৬১০ থেকে ৬২০ টি ট্রেন চলছিল। অন্য দিকে, হাওড়া শাখায় ৪৮৮ টি ট্রেন চলার কথা। সেখানে ২৫৪ টি ট্রেন চলছিল। ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের আধিক্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
সব কটি লোকাল ট্রেন চললে কী কী মাথায় রাখতে হবে, জানাল রেল
১. সব স্টেশনে আরপিএফ রাখা হবে, পর্যাপ্ত জিআরপি রাখার কথাও বলা হবে।
২. ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সব রকম সাহায্য নেওয়া হবে।
৩. রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলাদা করে কোনও বৈঠক করার কোন পরিকল্পনা নেই রেলের। তবে রাজ্য চাইলে রেল বৈঠক করবে।
৪. নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হবে সব রেলের সবকটি বগি।
৫. আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে রাজ্য সরকার যাতে রেলকে সব রকম সাহায্য করে, সে কথাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : ‘বুর্জ খলিফা যে না হয়’, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানো কী আদৌ সম্ভব?