কলকাতা: ৪২ আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। এখনও জট কাটছে না অন্যান্য রাজনৈতিক দলের। আইএসএফ-এর সঙ্গে সিপিএমের জোট নিয়ে জট ক্রমশ বাড়ছে। আসন সংখ্যা নিয়ে নওশাদদের দাবি আদৌ কি মানা হবে? সোমবারের বৈঠকেই তা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আসন সমঝোতা নিয়ে আইএসএফ-এর সঙ্গে কথা বলার জন্য সিপিএমের রাজ্য কমিটি দায়িত্ব দিয়েছে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে আট আসন থেকে লড়তে চায় আইএসএফ, কিন্তু সিপিএম তাদের তিনটির বেশি আসনে লড়তে দিতে রাজি নয়।
এ বিষয়ে আইএসএফ নেতৃত্ব বলছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেও, তা প্রত্যাহারের সুযোগ থাকে। ফলে আলোচনা করতে তো অসুবিধা নেই। তবে সব বিকিয়ে দিয়ে সমঝোতা করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে নওশাদরা। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য জট কাটার ক্ষেত্রে আশাবাদী। উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন খোদ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বামেরা এখনও ওই আসনে প্রার্থী দেয়নি। ফলে ওই আসন নিয়ে আলোচনা জারি আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, সিপিএমের প্রস্তাব নিয়ে সোমবারই আলোচনায় বসছে বাম শরিক দল সিপিআই। কারণ, সিপিএম চায় ঘাটাল কেন্দ্র ছেড়ে দেওয়া হোক তাদের। এই ঘাটাল সিপিআই-এর দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের আসন। সে ক্ষেত্রে দলের কী ভূমিকা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
একইসঙ্গে এবার বসিরহাট আসনেও লড়তে চেয়েছে সিপিএম। ওই আসনটিতেও বামফ্রন্ট তৈরির পরে থেকেই সিপিআই প্রার্থী দিয়ে থাকে। সেই আসন সিপিএম-কে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।
আসন সমঝোতার জট কাটিয়ে বসিরহাট আসন শেষ পর্যন্ত সিপিএম যদি লড়ে তাহলে সেখানে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। বসিরহাটের পরিবর্তে বনগাঁ আসনটি সিপিআইকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সিপিএম।