দৃশ্য ১: রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘরে বসে গল্প করছেন স্বামী-স্ত্রী। স্বামীর আবদার সত্ত্বেও কন্ডোম না থাকায় মিলিত হতে চাইছেন না স্ত্রী। এর মধ্যেই এক কাধে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে হাজির এক ‘দিদি’। দিলেন সচেতনতার বার্তা। তার পর নিরাশ স্বামী সময় কাটাতে স্ত্রীকে বললেন, “চলো তাহলে এক দান লুডোই খেলি।” দৃশ্য ২: গীতা যাচ্ছে সীতার বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে। বারান্দায় চুল বাঁধতে বাঁধছেন অপর এক মাঝবয়সী মহিলা। গীতা সীতার বাড়ি যাচ্ছে শুনেই তিনি চমকে উঠলেন। সীতার এইচআইভি সংক্রমণের বিষয়ে গীতাকে জানালেন। কিন্তু গীতা সে সবের পরোয়া না করেই সীতার ডিমের ডেভিলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। এর পর ফের হাজির সেই ‘দিদি’। এ রকমই কয়েকটি বিজ্ঞাপণ টিভি-র পর্দায় ভেসে উঠলেই অস্বস্তি বেড়ে যেত রক্ষণশীল বাঙালি সমাজের। যে বিষয় আড়াল করতে অভ্যস্ত, তা নিয়ে প্রকাশ্যে দেওয়া হচ্ছে বার্তা। সহজ ভাষায় কন্ডোম, সুরক্ষিত যৌনতা, এইচআইভি-এডসের মতো বিষয় নিয়ে বলছেন এক ভদ্রমহিলা। পরণে তাঁর সাদামাটা শাড়ি। চুল পরিপাটি করে বাঁধা। কপালে লাল টিপ। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ। মুখে অনবরত সচেতনতার বার্তা।...