কলকাতা : দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে সুজনের দুয়ারে হাজির লাভলি। দিদির সুরক্ষাকবচ সুনিশ্চিত করতে আজ তাঁদের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর (CPM Leader Sujan Chakraborty) বাড়িতে চলে যান তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র (Trinamool MLA Lovely Maitra)। তবে লাভলি দূত দুয়ারে পা রাখলেও সুজনের দেখা পাওয়া যায়নি। দেখা মেলেনি তো কী হয়েছে! সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না সুজনবাবু, তেমনটাই জানিয়েছেন লাভলি। সুজনের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই এদিন হাসিমুখে তিনি বলেন, “আমার পার্টি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। এলাকার প্রত্যেকটা মানুষের বাড়িতে আমি যাচ্ছি দিদির দূত হয়ে। সে কারণেই আজ সুজনদার বাড়িতে আজ এসেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত উনি নেই, কিন্তু ওনার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা হল।” তবে লাভলি দূতের খবরে সুজনবাবু আবার সবটাই ‘লাভলি’ দেখছেন না।
সুজনের কথায়, জনসংযোগ বাড়াতে তাঁরাও বিভিন্ন সময় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু, তাই বলে সাংবাদিক-ক্যামেরা নিয়ে প্রচারে বেরোনো কেমন দেখায়? প্রশ্ন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতার। সুজন বলেন, “আমরাও তো বিধায়ক, সাংসদ হিসাবে এলাকার অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। এখন বাড়ি বাড়ি যাওয়া যদি বিশেষ করে একটা কর্মসূচি হয় তাহলে বাড়ি যাবে তাতে সাংবাদিকদের খবর দিয়ে তাঁদের নিয়ে মানুষের বাড়ি যাওয়াটা ঠিক কীরকম ব্যাপার?” পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসতেই রাজ্যের নানা প্রান্তে দিদির দূত হয়ে হাজির হচ্ছেন বিধায়ক-মন্ত্রীরা। তবে তাঁরা যে সকলেই এলাকায় গিয়ে ‘লাভলি ট্রিটমেন্ট’ পাননি। মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে জেলার নেতারা। কোথাও আবার দলের কর্মীরাই দেখাচ্ছেন বিক্ষোভ।
বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। এরইমধ্যে এদিন ঘোলায় দিদির দূত তথা বিধায় তাপস রায়ের সামনেই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে অঞ্চল সভাপতিকে। বসিরহাটে আবার দেখা গেল অন্য ছবি। সেখানে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে সমস্যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় দিদির দূত কর্মসূচি। এদিন বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষণকাটি পাড়েরহাট এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচি ছিল। সেখানে বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূলের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় তৃণমূলের এক গোষ্ঠীকে। বসিরহাট এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নজরুল হককে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ।