মঙ্গলবার বলে কথা! উডবার্নের গ্রিলে জবার মালা ঝুলিয়ে অনর্গল মন্ত্রপাঠ মদনের
মঙ্গলবারই নারদ ( Narad) মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে সিবিআই।
কলকাতা: মদন মিত্র (Madan Mitra) আছেন মদন মিত্রেই। প্রচারে কী ভাবে ঝড় তুলতে হয় তাও তিনি জানেন, প্রচারে কী ভাবে থাকতে হয় তাও তাঁর ভালই জানা। এক রঙিন, বর্ণময় চরিত্র কামারহাটির এই তৃণমূল বিধায়ক। না হলে হাসপাতালের বারান্দার গ্রিলে জবার মালা ঝুলিয়ে রাজ্যের একজন প্রথম সারির রাজনীতিক সঙ্কট মোচনের মন্ত্র পাঠ করতে পারেন? মদন মিত্র পারেন।
মঙ্গলবারই নারদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে সিবিআই। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, হাই কোর্টে বিচার চলাকালীন আবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের আসার কী প্রয়োজন পড়ল। সিবিআইকে কড়া ভাষায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, না হলে জামিনের নির্দেশ দেবেন বিচারপতি। জামিনের ‘জুজু’ দেখেই তড়িঘড়ি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
সেই সুপ্রিম-রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই এদিন এসএসকেএমের উডবার্নের বারান্দায় দেখা যায় মদন মিত্রকে। গ্রিলে ততক্ষণে জবার মালা লাগানো হয়ে গিয়েছে। একটু নিচেই রাখা ফুলের স্তবক। কখনও করজোড়ে, কখনও আবার দু’হাত নেড়ে তিনি পড়ে চলেছেন সঙ্কট মোচনের মন্ত্র, হনুমান চল্লিশা।
কিন্তু হঠাৎ পুজোআর্চা কেন ‘মদনদা’র? সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে যথেষ্ট সতর্ক মদন একটিবারের জন্যও ক্যামেরার দিকে না তাকিয়ে বলে চললেন, আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘণ হয় এমন কিছু করব না, এমন কিছু বলব না। কিন্তু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে কেউ আটকাতে পারে না। এতে তো কোনও অপরাধ নেই।
আরও পড়ুন: ইয়াসের গতিবিধি বুঝতে হাওয়া অফিসে রাজ্যপাল, কল্যাণের কটাক্ষ ‘আবহাওয়াই তো বোঝার চেষ্টা করবেন এখন’
প্রসঙ্গত উডবার্নের এই বারান্দা গত কয়েকদিনে বহু বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। নারদকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। আপাতত শোভন ‘সুস্থ’ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। রয়েছেন সুব্রত ও মদন। বিতর্কিত এই বারান্দায় হাঁটাচলা করে বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরদিনই আবার এই বারান্দা থেকে মুখ বাড়িয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আইনি জটিলতায় জড়ান শোভন।
কিন্তু বর্ণময় মদন মিত্র সে সব বিতর্কের মধ্যে ঢুকতে নারাজ। তাই একটি বারের জন্যও ক্যামেরার দিকে দৃষ্টি দিলেন না। বিড় বিড় করে বললেন, প্রতি মঙ্গলবারই তিনি নাকি পুজো করেন। এদিনও তাই করছেন।