কলকাতা: শুধুমাত্র তৃণমূলের একজন বর্ষীয়ান নেতা নন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সিনিয়র আইনজীবীও বটে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আরজি কর-কাণ্ড, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা লড়েছেন তিনি। সেই কল্যাণের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাঁরই দলের বিধায়ক! নেতাদের কাদা ছোড়াছুড়ি তৃণমূলের অন্দরে নতুন কিছু নয়। তাই বলে পেশাগত দক্ষতা নিয়ে কড়া মন্তব্যের নজির খুব বেশি নেই। বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরাসরি মদন মিত্র বললেন, ‘ভাট বকে। জীবনে মামলা জিততে পারে না। সব কেস ঘেঁটে দেয়।’
একজন সাংসদ তথা সিনিয়র আইনজীবী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করতে এতটুকু বাঁধেনি মদন মিত্রের। সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘কে কল্যাণ? খায় না মাথায় দেয়?’ মদনের দাবি, কল্যাণ যতবার কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়েছেন, “হেরে চুর হয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “একবার তো এমন হয়েছিল। কল্যাণ মামলা লড়ছে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে বসেছিলেন। তাতেও হেরে গিয়েছিল।”
সিঙ্গুরের সময় মামলা লড়ার ক্ষেত্রে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু তাতে কল্যাণকে কোনও ক্রেডিট দিতে রাজি নন মদন। প্রশ্ন উঠতেই তিনি বলেন, “কোর্টে একটা ট্রেন্ড আছে। বিরোধীরা সিবিআই তদন্ত চাইলে দিয়ে দেয়। আমরা বিরোধী থাকাকালীন আমাদেরও দিত। যেন দল ৫ গোলে এগিয়ে আছে, ও গিয়ে পেনাল্টি মেরে বলছে, গোল দিলাম।” মদনের বক্তব্য, ডাক্তারদের কেসটাও লড়তে গিয়ে প্রায় ডুবিয়ে দিয়েছিলেন কল্যাণ। অন্য উকিল ধরে কোনওরকমে জেতেন চিকিৎসকরা। তারপর জেতা মামলার রেফারেন্স নিয়ে ময়দানে নেমেছেন কল্যাণ।