Madan-Kalyan: ‘মমতার দয়ার অন্নে বেঁচে থাকা জীব…ভেবেচিন্তে বল কাকে বলছিস’, কল্যাণকে তীব্র ক্রমণ মদনের
Madan-Kalyan: মদনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন কল্যাণ। আসানসোলে হেরে এসে কীভাবে শ্রীরামপুরে সিট জোগাড় করলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মদন।
কলকাতা: শাসক দলের অন্দরে যেন আক্রমণের ‘চেইন’ তৈরি হয়েছে। কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, “কার আশীর্বাদের হাত মাথায় আছে যে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি আছে?” নিশানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। ছেড়ে কথা বললেন না তৃণাঙ্কুরও। বললেন, “দল নিশ্চিতভাবে হিসেব রাখছে। বিচার করবে।” তাঁর নিশানায় কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার আবার সেই আসরে মদন মিত্র। বললেন, “বড় বড় কথা বলছে। যেন মমতারও ওপরে।” তাঁর নিশানাতেও কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। কী চলছে শাসক দলে!
তৃণাঙ্কুর সম্পর্কে মন্তব্য করায় কল্যাণের ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ মদন মিত্র। তাঁর বক্তব্য, তৃণাঙ্কুর থাকবে কি না, সেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন। এ বিষয়ে মতমত দেওয়ার এক্তিয়ার নেই কল্যাণের।
রীতিমতো তুই-তোকারি করে আক্রমণ করেন মদন মিত্র। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে কল্যাণের উদ্দেশে মদন বলেন, “তুই জানিস না তৃণাঙ্কুরের মাথায় কার হাত আছে? ক্ষমতা থাকলে তাকে গিয়ে বল? ফাল্তু ভাট বকে। ভেবেচিন্তে বল কাকে বলছিস। কথা ঠিকঠাক বল। কোথা থেকে কোথায় পা হড়কে যাবে, মুস্কিল হয়ে যাবে। এমনিই তো তেলে জলে রয়েছিস।”
মদনের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়ায় আজ এই জায়গায় পৌঁছেছেন কল্যাণ। আসানসোলে হেরে এসে কীভাবে শ্রীরামপুরে সিট জোগাড় করলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মদন। তিনি বলেন, “কিছু হলেই কল্যাণ মমতার বাড়িতে গিয়ে বলেন, ‘আপনি যা বলবেন দিদি…।’ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়া আছে। এরা হল সেই দয়ার অন্নে খাওয়া জীব।”
মদন মনে করেন, তৃণাঙ্কুর সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য, দলের অ্যাকশন নেওয়া উচিত। শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, কল্যাণ এভাবে বলছে শুনলে আরও পাঁচজন বলবে। এভাবে যা কে ইচ্ছা আক্রমণ করা চলবে না।