কলকাতা: আজ মহালয়া। কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন ঘাটগুলিতে ভিড় পূন্যার্থীদের। তিল-জল দিয়ে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়ে থাকে এই মহালয়ার দিনে। এবার সেই তর্পণেও রাজনীতির ছোঁয়া বঙ্গে। রবিবার সকালে বাবুঘাটে প্রথা মেনে তর্পণ করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির বিদায় চেয়ে তর্পণ করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। মহালয়ার সকালে বাবুঘাটে এই ছবিই ধরা পড়ল মদন বাবুর তর্পণে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবিও নিয়ে আসেন তর্পণ করতে। সেখানে গঙ্গার ঘাটে তর্পণের পর শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা পরিয়ে দেন মদন।
শুভেন্দু ও দিলীপ বাবুর ছবিতে মালা দেওয়ার সময় মদন বাবু বলেন, “ওঁরা বেঁচে থাকুক। সপরিবারে সুস্থ থাকুক। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিকভাবে যে অপমৃত্যু ঘটবে, তার তর্পণ করার জন্য লোক পাওয়া যাবে না। তাই আমি আগাম সেই তর্পণ করে গেলাম।” মদন বাবু যখন বিজেপি নেতাদের ছবিতে মালা দিচ্ছিলেন, তখন ‘বলো হরি, হরি বোল’ রবও শোনা গিয়েছে। যদিও মদন মিত্র এই মালা দেওয়ার পর আবারও বলে দেন, “তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে সুস্থ থাকুন। যাঁদের ছবি রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনও বক্তব্য। তাঁরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সুস্থ থাকুন, দীর্ঘায়ু হন। বিজেপির রাজনৈতিক অপমৃত্যু ঘটতে চলেছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে, তারপর আর তর্পণ করার লোক থাকবে না। তাই আমি আগাম তর্পণ করে গেলাম।”
মদন মিত্র এদিন যা বললেন, তার সারাংশ হল… বিজেপির এখন যা রাজনৈতিক অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে আর কিছুদিনের মধ্যে বিজেপি এই রাজ্যে দুর্বল হয়ে যাবে। সেই কারণেই এই তর্পণ বলে জানাচ্ছেন তিনি। এদিন যে দৃশ্য দেখা গেল, তা বঙ্গ রাজনীতিতে একেবারে নজিরবিহীন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা পাল্টা বলেন, “আসল কথা নিজের বিদায়কে ঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনৈতিক স্বার্থ ব্যবহার করছে তর্পণের মধ্যে। সনাতন সংস্কৃতিকেও রাজনৈতিকভাবে কলুষিত করতে চায়। তর্পণের নামে এই ভন্ডামি কেন? জিরো থেকে হিরো হওয়ার বাসনা থেকেই তিনি এই কাজ করছেন।”