Madhyamik 2022: কেউ ফর্ম ফিলআপ করেনি, কারও আবার ‘স্কুলের ভুল’! মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড এল না পরীক্ষার আগের দিনও
Madhyamik: এদিন ডিরোজিও ভবনের সামনে যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাদের অনেকের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কারণে অফলাইন ক্লাস বন্ধ ছিল।
কলকাতা: সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু এখনও অ্যাডমিট কার্ডই হাতে পায়নি বহু পরীক্ষার্থী। হয়ত এ বছর তারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতেও পারবে না। তবে শেষ অবধি লড়াই করে চলেছে তারা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। একটা বছর পিছিয়ে গেলে যে বড় ক্ষতি! রবিবার সল্টলেক ডিরোজিও ভবনের সামনে এসেছিল অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়া পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের লোকজন। বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে তারা। এদিন পর্ষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার থেকেই এরকম বহু ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। জেলায় জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছে, তারা পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পায়নি।
কিন্তু কী কারণে এই অ্যাডমিট কার্ড এসে পৌঁছল না? এ নিয়ে দু’রকম তত্ত্বই সামনে এসেছে। কেউ কেউ বলেছে, করোনার জেরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে তাদের কাছে রেজিস্ট্রেশনের নির্ঘণ্ট এসে পৌঁছয়নি। তারা জানতেই পারেনি কবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া হয়েছে। কারও কারও আবার দাবি, সময়মত সমস্ত কিছুই প্রক্রিয়া সেরেছে তারা। তারপরও স্কুল থেকে জানানো হয়েছে, অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। এমনকী স্কুল হাত তুলে নিয়েছে অবলীলায়, এমন অভিযোগও বহু পরীক্ষার্থীর।
এদিন ডিরোজিও ভবনের সামনে যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাদের অনেকের দাবি, করোনা পরিস্থিতির কারণে অফলাইন ক্লাস বন্ধ ছিল। তাই স্কুলে যোগাযোগ করতে না পারায় অ্যাডমিট কার্ডের ফর্ম ফিলআপ করা হয়নি। আবার অনেকে বলছে, স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও ভুলের কারণেই তারা অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি।
এক অভিভাবক জানান, “আমরা অ্যাডমিট কার্ডের জন্য এসেছি আজ। তিনদিন ধরে আসছি এখানে। স্কুলে যাচ্ছি, স্কুল কোনও কথা বলতে চাইছে না। এখন মেয়েটা পরীক্ষা দিতে না পারলে একটা বছর নষ্ট হবে। আমাদের পক্ষে কোনওভাবেই আরও একটা বছর একই ক্লাসের পড়াশোনা টানা সম্ভব হবে না। ডিরোজিও ভবন থেকেও বলছে ওরা কিছু করতে পারবে না। স্কুলের শিক্ষকরা সব বলবে। অথচ স্যরেরা কথাই বলছেন না।”
সোনিয়া দে নিউ ব্যারাকপুরে থাকে। তপতী বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। তার কথায়, “আমাদের স্কুল থেকেই আমরা ফর্ম ফিলআপ করেছি। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। স্কুল আমাদের ঘাড়ে দোষ ঠেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু এখান থেকে বলছে দিদিমণিরা এলে তার পর কোনও ব্যবস্থা হলেও হতে পারে। কিন্তু আমাদের স্কুলের দিদিমণিরা আসতেও চাইছেন না।”
অন্যদিকে মছলন্দপুর থেকে এসেছে মছলন্দপুর রাজবল্লভপুর হাইস্কুলের ছাত্র শুভজিৎ দাস। শুভজিতের কথায়, “আমরা মাধ্যমিকের আগে অ্যাডমিট কার্ডের জন্য কোনও ফর্ম ফিলআপ করিনি। তার জন্য অ্যাডমিট কার্ডও পাইনি। এখান থেকে বলল স্যররা আসলে ঢুকতে দেবে। কিন্তু স্যররা আসছেন না। আমাদের কী হবে সেটাই বুঝতে পারছি না!”
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair: বইয়ের পাতায়ও কি যুদ্ধ লাগে? বইমেলায় রাশিয়ার ফাঁকা স্টল উস্কে দিচ্ছে প্রশ্ন