Madhyamik Exam 2025: আরও কড়া নিয়ম! কোন কোন কাজ করলে পরীক্ষা দিলেও হবে বাতিল? মাধ্যমিকের ঠিক আগে সবটা পরিষ্কার করে সতর্ক করলেন পর্ষদ সভাপতি

Madhyamik Exam 2025: ২৬৮৩ পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার রাজ্যে পরীক্ষা দিতে চলেছে ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান পর্ষদ সভাপতি। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৩ ছাত্র, ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০ জন ছাত্রী।

Madhyamik Exam 2025: আরও কড়া নিয়ম! কোন কোন কাজ করলে পরীক্ষা দিলেও হবে বাতিল? মাধ্যমিকের ঠিক আগে সবটা পরিষ্কার করে সতর্ক করলেন পর্ষদ সভাপতি
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্য়ায় Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 07, 2025 | 4:00 PM

কলকাতা: পরীক্ষা শুরু ১০ ফেব্রুয়ারি। হাতে আর মাত্র তিনটে দিন! কিন্তু মাধ্যমিক নিয়ে উদ্বেগের অন্ত নেই! অ্যাডমিটে জট থেকে ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরীক্ষা পরিচালনা বয়কটের হুঁশিয়ারি, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বিগত কয়েকদিনে চাপানউতোরের চলছেই। ৯ তারিখের মধ্যে ‘বঞ্চিত’ পড়ুয়াদের কাছে অ্যাডমিট পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে সাম্প্রতিককালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিকবার গোলযোগের অভিযোগ সামনে এসেছে। দেদার টোকাটুকি থেকে ‘প্রশ্নফাঁস’, বাদ যায়নি কিছুই। উদ্বেগের আবহে সবটাই কড়া হাতে মোকাবিলা করতে চাইছে সরকার। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। 

২৬৮৩ পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার রাজ্যে পরীক্ষা দিতে চলেছে ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান পর্ষদ সভাপতি। এর মধ্যে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৩ ছাত্র, ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০ জন ছাত্রী। তবে প্রশ্নফাঁস ও টোকাটুকি রুখতে বেশ কিছু জেলায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। কোনও স্মার্ট গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা হলে বসলে পরীক্ষা বাতিল হবে। সাফ জানাচ্ছে পর্ষদ। টয়লেটেও রাখা হবে বিশেষ নজর। টয়লেটে স্মার্ট গ্যাজেট লুকিয়ে রাখে অনেকে। তাই সেখানে আলাদা করে নজরদারি চলবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও অভিভাবক প্রবেশ করতে পারবেন না।  প্রশ্নফাঁস ও টুকলি রুখতে পর্ষদের টিম ঘুরবে স্কুলে স্কুলে। পর্ষদ সভাপতির কথায়, “কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে পরীক্ষা চলার সময় কোনও গ্যাজেট (অ্যাডমিট কার্ডের পাশে দেওয়া নির্দেশিকা) পাওয়া গেলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল হবে।” এর আগেও এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় কীভাবে পুলিশ অ্যাকশন নিয়েছিল, কীভাবে টুকলি চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল এদিন তাও মনে করান পর্ষদ সভাপতি। 

তবে একসঙ্গে শতাধিক ছাত্রের অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়া নিয়েও এদিন উদ্বেগের সুর শোনা যায় পর্ষদ সভাপতির গলায়। শেষ নতুন করে অ্যাডমিট ইস্যু করা, গোটা প্রক্রিয়াকে ফের সাজানো খুবই চাপের বলে মত তাঁর। এ নিয়ে এদিন তিনি বলেন, সোমবার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তার আগে ১৮১ জন পড়ুয়ার এনরোলমেন্ট হচ্ছে। শোনা যাচ্ছিল ৫০ থেকে ৭০ জন পড়ুয়ার কথা। কিন্তু সংখ্যাটা আসলে ১৮১। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এদিন দুপুর ২টো পর্যন্ত এই পড়ুয়ারা আবেদন করেছে। তাঁর সাফ দাবি, এই পুরো ঘটনা ঘটেছে স্কুলগুলির দোষেই। তাঁর কথায়, স্কুলের দোষেই পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছিল। সামান্য কটা স্কুলের জন্য এই পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাঁর দাবি, ১৩৬টা স্কুল ঠিক করে কাজ করেনি। তাই এই অবস্থা।