Flash Flood: ‘শুধু ঘরে বসে চা খাওয়া কাজ’, মালবাজারের দুর্ঘটনায় সেচ দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যসচিব

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 15, 2022 | 7:46 PM

Flash Flood: আসন্ন নদী ও ছটপুজোতে নদীতে যে কোনও ধরনের বানের বিষয়ে এখন থেকে সেচ দপতরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও একযোগে তালমিল রেখে কাজ করার কথাও বলেছেন।

Flash Flood: শুধু ঘরে বসে চা খাওয়া কাজ, মালবাজারের দুর্ঘটনায় সেচ দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যসচিব

Follow Us

কলকাতা: সেচ দফতরের সঙ্গে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা প্রশাসনের তালমিলের (coordination) অভাবেই ঘটেছে মালবাজারের (Malbazar) ঘটনা। সূত্রের খবর, শনিবারের বৈঠকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেচ দফতরের ভূমিকা নিয়ে। এদিন ডেঙ্গি (Dengue) আর দুয়ারে সরকার নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে সেখানেই মুখ্যসচিব বলেন, “সেচ দফতর কী করে? শুধু ঘরে বসে চা খাওয়া কাজ! কোনও কাজ নেই। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নূন্যতম তালমিল রেখে কেন চলেন না?” 

কী নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব? 

সবাইকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন রেখে চলতে হবে বলে বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। আর যদি তাতে ঘাটতি থাকে, তাহলে এই ধরনের ঘটনা আবারও ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। এ ঘটনায় স্বভাবতই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বলেই এদিনের বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কালীপুজো ও ছটপুজো নিয়েও বিশেষ সতর্কবার্তা দেন মুখ্যসচিব। নদীতে যে কোনও ধরনের বানের বিষয়ে এখন থেকে সেচ দপতরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও একযোগে তালমিল রেখে কাজ করার কথাও বলেছেন। 

এদিকে পুজোয় বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল গোটা বাংলাতে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ার কথা ছিল নবমীর পর থেকে। পূর্বাভাস অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। দশমীতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ছিল জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে। বৃষ্টিও হয় দিনভর। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মণ্ডপে মণ্ডপে চলতে থাকে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। এরইমধ্যে মাল নদীতে ঘটে যায় বড় বিপর্যয়। মাল নদীতে দুর্গা বিদায়ের সময়ে আচমকাই চলে আসে হড়পা বান। মারা যান ৮ জন। যা নিয়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে। দশমীর বিষাদ যেন আরও ভারী হয়ে নেমে আসে বাংলার বুকে।

মালবাজার যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়ে যায় তীব্র চাপানউতর। প্রশাসনিক অব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলে শাসকদলকে দুষতে থাকে বিরোধীরা। যদিও সম্প্রতি আবার জলপাইগুড়িতে গিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেছেন মাল নদীতে বিপর্যয়ের দিন যাঁরা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা সকলেই তৃণমূলের কর্মী। এমনকী তাঁর আরও দাবি এই কাজ শুধু তৃণমূল কর্মীরাই করতে পারেন। আর কোনও দলে এ ধরনের কর্মীদের দেখতে পাওয়া যায় না। তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাল্টা তোপও দেগেছে বিজেপি। এদিকে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মালবাজারে যাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Next Article