Javed Khan: ‘মুখ খোলা যাবে না’, জাভেদকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
Javed Khan: সম্প্রতি কসবায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানেই প্রকট হয়েছে রাজ্যে মন্ত্রী জাভেদ খান ও কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের দ্বন্দ্ব।

কলকাতা : শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ নতুন নয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সেই ছবি দেখা যায় মাঝে-মধ্যেই। সম্প্রতি সেরকমই একটি অভিযোগে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীর, তাও আবার খাস কলকাতায়। কয়েকদিন আগেই সেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এবার সেই ঘটনার রেশ ধরেই মন্ত্রী জাভেদ খানকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠক চলাকালীন মন্ত্রীকে মুখ বন্ধ রাখার কথাও বলেন মমতা।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠক চলাকালীন, সরাসরি জাভেদ খানকে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে এ দিন তিনি নির্দেশ দেন যাতে প্রকাশ্যে মুখ না খোলেন মন্ত্রী। কী সমস্য়া হয়েছে, সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নেন বলেও সূত্রের খবর। মুখোমুখি বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ছড়ায় তুমুল উত্তেজনা
সম্প্রতি কসবার নোনাডাঙা লেকপল্লিতে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এলাকার বস্তিতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী বলে সূত্রের খবর। তাঁরা নিজেদের জাভেদ খানের অনুগামী বলে দাবি করেন। আর এই ঘটনা থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
‘ওরা আমার লোক নয়’
ঘটনার পর রবিবার এই ইস্যুতে মুখ খোলেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তাঁর দাবি, বারবার প্রচার করা হচ্ছে কসবার হামলায় ইন্ধন রয়েছে তাঁর। সুশান্ত-র লোকেরাই যে এটা করেছে, সে কথাই শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। কিন্তু, আদৌ সেটা নয় বলেই মন্তব্য করেছেন সুশান্ত। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্যাখ্যা করেছেন, যাঁরা ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের পরিচয় জানলেই বোঝা যাবে, হামলাকারীরা আসলে কার লোক। কসবার যিনি এমএলএ ও রাজ্যের মন্ত্রী, তাঁর সঙ্গেই এরা জড়িত বলে তোপ দেগেছেন সুশান্ত।
উল্লেখ্য, এক বস্তিবাসীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকায়। বস্তি খালি করে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কথা না মানলে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে শাসানো হয়েছে, এমন অভিযোগও করছেন এলাকাবাসীদের একাংশ। অতীতেও দুই-চার মাস আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। আর খাস কলকাতায় এমন চরম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।





