‘জলের নামে জলে চলে যাচ্ছে টাকা, কাজ কোথায়?’ নবান্নে ধমক মমতার
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ইচ্ছামত গঙ্গার ধারে কলোনি গড়া যাবে না। এতে গঙ্গার গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।
কলকাতা: ‘জলের নামে জলে চলে যাচ্ছে টাকা’। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, ২-৩ বছর আগে গঙ্গা সংস্কারে টাকা দেওয়া হয়েছিল। অথচ সে টাকা জলে গিয়েছে। কোনও কাজের কাজ হয়নি।
বিভিন্ন সময় খালগুলি নোংরা হয়ে পড়ে থাকার কারণে জল জমে। একইসঙ্গে দূষণ ছড়ায় গঙ্গার বুকেও। সেই সমস্ত খাল পরিষ্কার করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “ক্যানেলগুলি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি গঙ্গায় দেখি কী নোংরা জল। সমস্ত নোংরা গঙ্গায় ভাসে। কেন এটা হবে? দু তিন বছর আগেও টাকা দিয়েছি। ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কী কাজ হয়েছে গঙ্গায়? একই জিনিস দেখছি।” এরপরই প্রশ্ন তোলেন মমতা, “টাকাটা গেল কোথায়? সব টাকা দেখছি জলের নামে জলে চলে যাচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে? নির্দিষ্ট একটা পদ্ধতি আনতে হবে।”
আরও পড়ুন: বড় সিদ্ধান্ত! মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক বাতিল, নবান্নে ঘোষণা মমতার
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইচ্ছামত গঙ্গার ধারে কলোনি গড়া যাবে না। এতে গঙ্গার গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ফিরহাদ হাকিমকে মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন, কলোনিগুলি অন্যত্র স্থানান্তরিত করা যায় কি না। যদিও পাল্টা কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলোনিগুলি বহু দূর বেড়ে গিয়েছে। এখন তা স্থানান্তরিত করা সম্ভব নয়। এর মধ্যে থেকেই জায়গা খুঁজে বের করতে হবে।” তাতে মমতার পরামর্শ, “ক্যানেলগুলিকে উঁচু করে প্রয়োজনে কিছু একটা করতে হবে। কোনও ভাবেই যেন কলোনিগুলি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।” প্রয়োজনে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারেরও পরামর্শ দেন তিনি।