কলকাতা: কালীঘাটের বৈঠকের পর থেকেই নতুন করে চর্চায় উঠে আসে দলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। মুখপাত্রের তালিকায় আসে বড় রদবদল। বাদ পড়েছে একাধিক পুরনো নাম। রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্নও তোলে, তবে কি ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব কমছে দলে? আর এবার বিধায়কদের বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেই দিলেন, দল দেখবেন তিনিই।
সোমবার বিধানসভায় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানে সবার মাঝে একেবারে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মমতা বলে দেন, ‘দল আমি আর বক্সীদাই দেখব।’ অর্থাৎ দলে যে তিনিই শেষ কথা, সেটা বুঝিয়ে দিলেন। প্রশ্ন হল, দলের চেয়ারম্যান তথা সুপ্রিমো হিসেবে এমন কথা বলার প্রয়োজন পড়ল কেন? শুধু তাই নয়, দলের ছাত্র ও যুব সংগঠন তিনি নিজে হাতে সাজাবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একসময় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন মুকুল রায়। বছর কয়েক আগে সেই পদ পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে দলের ‘দ্বিতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে সামলাচ্ছিলেন অভিষেক। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দলে গুরুত্ব বাড়ে পুরনো নেতাদের। আর কালীঘাটে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও দেখা যায়, পুরনো নেতাদেরই দলে দায়িত্ব বাড়ছে। এমনকী দলেরই নেতারা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, অভিষেককে দলে কোণঠাসা করা হচ্ছে।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বললেন, তাতে বিরোধীরাও বলছেন ‘কালীঘাট আর ক্যামাক স্ট্রিটের লড়াই চলছে।’ কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলছেন, “দলে তো উনিই শেষ কথা। এটা আলাদা করে বলতে হচ্ছে কেন? আসলে উনি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কালীঘাট আর ক্যামাক স্ট্রিটের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই লড়াই আর থামানো যাবে না। এটাই শেষের শুরু।”