কলকাতা: কেন্দ্র হোক বা রাজ্য। সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পাননা বঙ্গের সাধারণ মানুষ এমন অভিযোগ বারবারই করে এসেছে বিরোধীরা। সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পে বারবার সাধারণ গ্রাহকের টাকা কখনও ঢুকে গিয়েছে পঞ্চায়েত উপপ্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, কখনও বা কোনও দালালের কবলে পড়ে টাকাটাই পৌঁছয়নি গ্রাহকের কাছে। এ বার আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে সরাসরি কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সামনেই পুরভোট। দলের ভাবমূর্তি যাতে কোনওভাবে ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার, জনসভায় গিয়ে সরাসরি জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্পষ্ট জানালেন, যাঁরা ঠিক করে নিজ এলাকায় কাজ করেননি, তাঁদের এ বারের পুরভোটের প্রার্থী পদও দেওয়া হয়নি।
এরপরেই, আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সব কিছুতে টাকা চাই না! সরকারের কাজ করবে তাতেও টাকা চাই! গরিব মানুষের ঘর বানাবে, তাতে টাকা দরকার! টাকা দিয়ে ঘর দেওয়া…ওসব চলবে না। এই বলে রাখলাম। সব অনলাইন করে দেব। সাতদিনের মধ্যে ঘর তৈরির টাকা পাবেন। কাউকে টাকা দিতে হবে না। কেউ টাকা নিতেও পারবে না। সেই ব্যবস্থাই করব।”
প্রসঙ্গত, সরকারি আবাস যোজনায় বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময়ে নানা দুর্নীতির খবর আসছিল। কখনও মালদায়, কখনও মুর্শিদাবাদে, কখনও মানিকচকের বিডিও, কখনও বা পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী, বিভিন্ন সময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, বিজেপি করার ‘অপরাধে’ আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। কখনও মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আবাস যোজনার টাকা, অথচ যাঁর দরকার, তিনি ঘর পাননি। তাই, এ ধরনের কোনও ‘দুর্নীতি’ যাতে প্রশ্রয় না পায় সেদিকেই কড়া নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই অনলাইনেই জোর দিয়েছেন তিনি। যদিও কবে থেকে কীভাবে এই গোটা পদ্ধতি অনলাইনে করা হবে তা বিস্তারিত জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে অতিদ্রুত এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তবে, এখানেই শেষ নয়, এদিনের সভা থেকে তৃণমূলে নেত্রী স্পষ্টই জানিয়েছেন, ভাল কাজ না করলে পদও থাকবে না। মানুষের কাজ করতে হবে। সেজন্য কাউন্সিলরদের নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেন মমতা।