Mamata Banerjee on IAS Cadre Rules: ‘টিপটাপ, চুপচাপ আইপিএসদের তুলে নিয়ে চলে যাবে…মগের মুলুক নাকি!’

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 23, 2022 | 4:35 PM

Kolkata: মোদী সরকারের ক্য়াডার সংশোধনী সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে স্বভাবতই তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে অবিজেপি শাসতি রাজ্যগুলি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব পশ্চিমবঙ্গ

Mamata Banerjee on IAS Cadre Rules: টিপটাপ, চুপচাপ আইপিএসদের তুলে নিয়ে চলে যাবে...মগের মুলুক নাকি!
বাজেটের বিরোধিতা মমতার

Follow Us

কলকাতা: আমলার বদলি নিয়ে রাজ্য-কেন্দ্রের টানাপোড়েন এবার কার্যত কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি ‘ডেডলাইন’। আইএএস (ক্যাডার) আইনে সংশোধনী এনে নিজের হাতে ক্ষমতা রাখবে কেন্দ্র। যা নিয়ে রীতিমতো নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে রেড রোডে এ বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

রেড রোড থেকে মমতা বলেন, “টিপটাপ, চুপচাপ আইপিএসদের তুলে নিয়ে চলে যাবে! তারপর হঠাৎ একদিন বলবে, মুখ্যসচিবকে পাঠান। মুখ্যসচিবকে নিয়ে চলে যাবে! তাহলে রাজ্যের কাজ করবে কে! যাঁরা আইপিএস, আইএএস নির্বাচিত হন, তাঁরা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে এই পদের যোগ্যতা অর্জন করেন। তাঁদের এভাবে হাতের মুঠোয় রাখা যায় নাকি!”

মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, “গোটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোটাই আপনারা ভেঙে দিচ্ছেন। গোটা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভাঙার চেষ্টা চলছে! এটা কি মগের মুলুক! একটা আইন নেই? যা ইচ্ছে সেই আইন বদলে দিচ্ছে, যখন যা মনে হচ্ছে তাই করছে!”

বস্তুত, মোদী সরকারের ক্য়াডার সংশোধনী সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে স্বভাবতই তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে অবিজেপি শাসতি রাজ্যগুলি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব পশ্চিমবঙ্গ। ইতিমধ্যে দু’দুটি খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগও করেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। কী আছে কেন্দ্রের এই খসড়া প্রস্তাবে? কেনই বা কেন্দ্র তৎপর হচ্ছে আইএএস আইন সংশোধন করতে?

১৯৫৪-র আইএএস (ক্যাডার) আইনের ৬(১)ধারা অনুযায়ী রাজ্যের অধীনে থাকা কোনও ক্যাডার অফিসারকে ডেপুটেশন চাইলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অনুমতি বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রের আলোচনার ভিত্তিতে সেই আধিকারিককে বদলি করা যাবে। তবে আধিকারিকের ইচ্ছাকেও যথেষ্ট প্রাধান্য দিতে হবে।

যদি বিরুদ্ধমত তৈরি হয়, তবে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। অর্থাৎ কেন্দ্র চাইলেই কোনও আধিকারিককে তলব করতে পারবে না, সেক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন।

কিন্তু, এতে সমস্যা কোথায়? কেন বদল চাইছে কেন্দ্র? মোদী সরকারের যুক্তি, কেন্দ্রের হাতে আইএএস ক্যাডার যথাযথ নেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কাজ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রে একজন আইএএস আধিকারিকের উপর একাধিক বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। মাত্র ১০ শতাংশ আইএএস অফিসার (মিড লেভেল) স্থানান্তরিত হয়েছেন ২০২১ সালে। ২০১৯ সালেই সেই শতকরাই ছিল ১৯।

নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রে ৪০ শতাংশ ডেপুটেশন পদ বরাদ্দ রয়েছে। রাজ্যের অধীনে থাকা আইএএস আধিকারিকদের কেন্দ্র ডেপুটেশন চাইলে সেখানে কাজ করা বাধ্যতামূলক। বাস্তবিক ক্ষেত্রে সেভাবে ডেপুটেশন হচ্ছে না বলে মত কেন্দ্রের।

ক্যাডারবিধি সংশোধন হলে  বদলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ  থাকবে কেন্দ্রের উপর। রাজ্য নিজের ইচ্ছে মতো ভিটো প্রয়োগ করে কোনও আধিকারিককে আটকাতে পারবে না। যদি, কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কোনও মতান্তর হয়, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রই। অন্তত, সংশোধনী আইনে সেই ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রের হাতে।

পাশাপাশি, কেন্দ্র যখনই আধিকারিককে তলব করে, রাজ্যের অনিচ্ছা সত্ত্বেও চলে আসতে হবে সেই আধিকারিককে। অর্থাৎ, সংশোধনী আইনে রাজ্যের অধিকার খর্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।

ইতিমধ্যেই, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, বিহার, মেঘালয়, মধ্য প্রদেশ প্রস্তাবিত খসড়ার বিরোধিতা করে জানিয়েছে, বর্তমান আইন পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে সহযোগিতা না মিললে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সংসদে আগামী অধিবেশনে ক্যাডার আইন সংশোধনী বিল পেশ করা হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।

Next Article
Netaji Birth Anniversary : নেতাজির যোজনা কমিশনের আদলে রাজ্যে চালু হবে ‘বেঙ্গল প্ল্যানিং কমিশন’, ঘোষণা মমতার
ATM fraud: শহরে ফের সক্রিয় এটিএম জালিয়াতের চক্র! পুলিশের হাতে পাকড়াও ১