Mamata Banerjee: ‘উদ্ধব, শরদদের জিজ্ঞাসা করুন…’, নাগপুরের হিংসায় শরিকদের কোর্টে বল ঠেললেন মমতা
Mamata Banerjee: যখন উত্তেজনা সামাল দিতে পথে নামে পুলিশ। সেই সময়ই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকরা, তা শাসক হোক বা বিরোধী, তাদের মন্তব্যে যেন আরও পারদ চড়ে হিংসার। আর এই হিংসার প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কলকাতা: তারা শরিক, তাই তাদের দিকেই উত্তর দেওয়ার দায় ঠেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার, নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নানাবিধ আলোচনার মাঝেই সেখানে উঠে এল নাগপুরে ঘটা সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা। আর সেই নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই মুখ্য়মন্ত্রী বললেন, ‘উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়াদের জিজ্ঞাসা করুন, ওরা উত্তর দিতে পারবে।’
ঠিক কী ঘটেছে নাগপুরে?
গত কয়েক দিনে ভয়াবহ হিংসার সাক্ষী থেকেছে নাগপুর। একটা সিনেমা, তা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক ও পুনরায় ভারতের রাজনীতি আওরঙ্গজেবের বাড়ন্ত প্রাসঙ্গিকতা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবকে সঙ্ঘের সদর দফতরের অদূরেই তৈরি হল উত্তেজনা।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে হিংসার নেপথ্যে থাকা মূল চক্রীকেও। মূলত, আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ নিয়ে প্রশাসনের কাছে দায়ের হয় একাধিক হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী। আর তা ঘিরেই পাল্টা বিক্ষোভ চালায় এক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যরা। তৈরি হয় অশান্তির পরিস্থিতি।
যখন উত্তেজনা সামাল দিতে পথে নামে পুলিশ। সেই সময়ই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকরা, তা শাসক হোক বা বিরোধী, তাদের মন্তব্যে যেন আরও পারদ চড়ে হিংসার। আর এই হিংসার প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ঠিক কী বললেন তিনি?
‘আমি কোনও রকম হিংসাকেই সমর্থন জোগাতে পছন্দ করিনা। এমনকি, যখন বিরোধী হিসাবে লড়েছি, সেই সময়ও কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসাকে ইন্ধন জোগাইনি। যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল, এখানেও তার প্রভাব পড়েছিল। সেই সময় আমি নিজে রাইটার্স বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলাম। প্রশাসনিক কর্তাদের বলেছিলাম যে আমাকে জানান যদি আমি কোনও ভাবে সাহায্য় করতে পারি।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘আর প্রসঙ্গ যখন মহারাষ্ট্র, সেক্ষেত্রে বলতে পারি, এই প্রসঙ্গে আপনারা উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়াদের জিজ্ঞাসা করুন, ওরা উত্তর দিতে পারবে। এই প্রসঙ্গে আমাদের একটাই বক্তব্য একতাই বিশ্বাস।’





