কলকাতা: কলকাতায় ধরনার সময় প্রায় শেষ। এবার দিল্লি গিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভেবেছিলেন ধরনার জেরে হয়ত দিল্লি থেকে আসবে ফোন, বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হবে। কিন্তু তেমনটা ঘটেনি। তা না হওয়ায় এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথা বললেন তিনি। বৃহস্পতিবার ধরনার দ্বিতীয় দিনে মমতা বলেন, ‘চলো দিল্লি। আমরাও দিল্লি যেতে পারি।’ প্রয়োজন হলে ভিক্ষা করে ট্রেন ভাড়া করে দিল্লি যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মূলত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলেই ধরনায় বসেছিলেন মমতা।
মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করলাম। ভেবেছিলাম ভদ্রতা করে কেন্দ্রীয় সরকার যোগাযোগ করে বলবে, ১০০ দিনের টাকা না দিয়ে আমরা অন্যায় করেছি। তোমাদের প্রাপ্য আমরা দেব। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেব। ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা, জিএসটির টাকা, গ্রামীণ রাস্তার প্রাপ্য টাকা দেব। কিন্তু কিছুই হল না।’
কোনও আশ্বাস না পেয়ে এবার দিল্লি যাওয়ার কথাই ভাবছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, ‘ট্রেন দেবে না? ট্রেন ভাড়া করে যাব। দরকার হলে ভিক্ষা করে ট্রেন ভাড়া করব।’ তাঁর দাবি, বিজেপি রিজার্ভেশন আটকে দিলে প্রশ্ন তুলবে সাধারণ মানুষ।
কেন্দ্রের ‘আয়ুস্মান ভারত’র স্কিমের শর্ত থেকে ‘পিএমশ্রী’, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ভেবেছিলাম এখানে উনুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করব। আগুন লাগার ভয়ে তা করতে পারিনি। কিন্তু আমরা সব পারি।’ প্রয়োজন হলে দিল্লি গিয়ে উনুন জ্বালাব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ছবি নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেও এদিন উল্লেখ করেন মমতা। উল্লেখ্য, বুধবার ধরনার প্রথম দিনও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রয়োজন পড়লেন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছে গিয়ে ধরনা দেবেন তিনি। যুব তৃণমূলের সমাবেশ থেকে দিল্লি যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। রাজধানী অচল করে দেওয়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।